বাগেরহাট সদর উপজেলার খানজাহান আলী (রহ.) মাজারসংলগ্ন একটি আবাসিক হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৮ জন বিএনপি নেতাকর্মীকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সোমবার দিবাগত রাতের এ অভিযানে হোটেল কক্ষ থেকে ছয়টি হাতবোমা উদ্ধারের দাবিও করা হয়েছে।
সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদ-উল-হাসান জানান, সেনাবাহিনী প্রথমে অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজনদের আটক করে এবং পরে পুলিশ গিয়ে তাদের হেফাজতে নেয়। উদ্ধারকৃত হাতবোমাগুলো পানিতে ডুবিয়ে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেলে এসআই গৌতম কুমার মণ্ডল আটককৃতদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেছেন। ওইদিন সন্ধ্যায় তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
আটককৃতদের মধ্যে রয়েছেন বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কাসেম সেলিম ভূঁইয়া, তার ছেলে মোস্তফা কামাল সাব্বির ভূঁইয়া, ছোট ভাই মো. আজিম ভূঁইয়া, এবং আরও ১৫ জন নেতাকর্মী। তাদের সবার বাড়ি বাগেরহাট পৌর এলাকার বিভিন্ন মহল্লায়।
পুলিশ আরও জানায়, আটক হওয়া সেলিম ভূঁইয়া ও আজিম ভূঁইয়া এর আগে গত মার্চে যুবদল নেতা জসিম সরদারের ওপর হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার আসামি ছিলেন।
আটককৃত সকল হলেন, বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কাসেম সেলিম ভূঁইয়া, তার ছেলে মোস্তফা কামাল সাব্বির ভূঁইয়া, ছোট ভাই মো. আজিম ভূঁইয়া, মো. সাগর হাসান, তুফান হাওলাদার, মো. মনি হাওলাদার, মো. নাইম মোল্লা, আরিফ হাওলাদার, রাজু মোল্লা, শাকিব আহম্মেদ রাজ, মো. সাজিদ, নিমাই সরকার, সিরাজুল শেখ, মো. মাশুক, মো. মিলন শিকদার, রবিউল সরদার, মো. ইয়াসিন আরাফাত ও মো. শাহীন ওরফে অভি শেখ। এদের বাড়ি বাগেরহাট পৌরসভার বিভিন্ন এলাকায়। বাগেরহাট পৌর শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল কাসেম সেলিম ভূঁইয়া ও তার ছোট ভাই মো. আজিম ভূঁইয়া গত মার্চ মাসে যুবদল নেতা জসিম সরদারের উপর হামলা মামলার এজাহারনামীয় আসামী।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, এসব নেতাকর্মীদের গতিবিধি নজরদারিতে ছিল এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়।