ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

তিন প্রজন্মে নয়, এক প্রজন্মেই বিচার নিশ্চিত করার প্রত্যয় রিজওয়ানা হাসানের

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১.৪৫ অপরাহ্ন

আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১.৪৫ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 865093 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 865093 জন
তিন প্রজন্মে নয়, এক প্রজন্মেই বিচার নিশ্চিত করার প্রত্যয় রিজওয়ানা হাসানের
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান/ ফাইল ছবি

বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন অচিরেই শুরু হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।


বিচারে দীর্ঘসূত্রতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা কথা আছে কারও সঙ্গে শত্রুতা করতে গেলে একটা ল্যান্ড মামলা জুড়ে দাও। ফলে তিন জেনারেশনে সে মামলা শেষ হবে না। তিন জেনারেশন যেন না লাগে, এক জেনারেশনেই যেন মামলা শেষ হয়- সেজন্য সিপিসির (কোড অব সিভিল প্রসিডিউর) কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে।


বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।


সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, সিপিসির কিছু কিছু পরিবর্তন আনার জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। ব্রিটিশ সরকারের সময়ে প্রণীত সিপিসির কিছু কিছু সংশোধন নীতিগতভাবে অনুমোদন করা হয়েছে।


তিনি বলেন, বাংলাদেশে একটা কথা আছে, কারও সঙ্গে শত্রুতা করতে গেলে একটা ল্যান্ড মামলা জুড়ে দাও। ফলে তিন জেনারেশনে (প্রজন্মে) সে মামলা শেষ হবে না। তিন জেনারেশন যেন না লাগে, এক জেনারেশনেই যেন মামলা শেষ হয়- সেজন্য সিপিসির কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। যাতে করে যারা বিচারপ্রার্থী তাদের সময় কম লাগে, তাদের টাকা কম লাগে।


‘আমরা যারা যারা উকিল আছি নানান অজুহাতে বিভিন্ন সময়ে সময় নিয়ে মামলার প্রক্রিয়া বিলম্বিত করি। সেটা যেন আর না হয়, সেরকম কতগুলো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বারবার বিভিন্ন সময়ে সময় নেওয়ার কথা বলা হতো, উকিলরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সময় নেবেন- সর্বোচ্চ কতবার সময় নেওয়া যাবে তা এখানে বলে দেওয়া হয়েছে।’


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, আগে একটা মামলার রায় হয়ে যাওয়ার পরেও এ মামলার রায় বাস্তবায়নের জন্য আবার জারি মোকদ্দমা করতে হতো। এখন বলা হচ্ছে যখন রায় দেওয়া হবে, ওই রায়ের মধ্যেই এই পিটিশনের বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করে নেওয়া হবে।


তিনি বলেন, বিচার প্রক্রিয়া এখনো সেকেলে রয়ে গেছে। বিচার প্রক্রিয়াকে আধুনিকায়ন করতে সমনজারি এখন থেকে টেলিফোন, মেসেজ কিংবা অন্য আধুনিক যে প্রযুক্তি রয়েছে তার মাধ্যমে করা যাবে।


কাউকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার জন্য ভুয়া মামলা করা হলে আগে ২০ হাজার টাকা আর্থিক দণ্ড ছিল, সেটি বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে বলেও জানান সরকারের এ উপদেষ্টা।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১.৪৫ অপরাহ্ন
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ১১.৪৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ