ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ডিলমেকার’ আখ্যায়িত করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান ড. ইউনূসের

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২.০০ পূর্বাহ্ন

আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২.০০ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 962000 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 962000 জন
ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ডিলমেকার’ আখ্যায়িত করে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার আহ্বান ড. ইউনূসের
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ‘ডিলমেকার’ আখ্যায়িত করে বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বর্তমান মার্কিন পররাষ্ট্রনীতি অনেক কঠোর হওয়া সত্ত্বেও ড. ইউনূস বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে দেখার জন্য ট্রাম্পকে অনুরোধ করেছেন।


ইউনুসের এই আহ্বান এমন এক সময়ে এলো যখন ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের মধ্যে এক ধরনের শীতলতা বিরাজ করছে।


ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস ট্রাম্পকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আসুন, আমাদের সঙ্গে ডিল (চুক্তি) করুন। তিনি স্বীকার করেন যে ট্রাম্পের প্রত্যাখ্যান বাংলাদেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে, তবে তিনি দৃঢ়ভাবে জানান, সম্পর্ক ‍উন্নয়নের গণতান্ত্রিক এই প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।


ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইউএসএআইডি তহবিল কাটছাঁট করেছে ও বাংলাদেশের ওপর বিনা প্রমাণে অভিযোগ এনেছে যে, তারা সাহায্যের অর্থ ‘চরম বামপন্থি কমিউনিস্ট’ নির্বাচনে ব্যবহার করেছে। এর ফলে বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো ঝুঁকির মুখে পড়েছে ও ইউনূসের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনার প্রচেষ্টা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।


এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইউনূস ট্রাম্পের সঙ্গে ইলন মাস্কের জোটকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। তিনি এই বিলিয়নিয়ারকে বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট পরিষেবা চালুর জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। এপ্রিল মাসে মাস্কের বাংলাদেশ সফরের সম্ভাবনা রয়েছে, যা বাংলাদেশের অবকাঠামো আধুনিকীকরণের পাশাপাশি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের একটি কৌশলগত পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।


ইউনূসের এই আহ্বান বাংলাদেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এসেছে। ২০২৪ সালের আগস্টে ক্ষমতায় আসার পর থেকে ইউনুস শেখ হাসিনার ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের উত্তরাধিকার মোকাবিলা করছেন। হাসিনার শাসনামলে ব্যাপক দুর্নীতি, দমন-পীড়ন ও ভঙ্গুর অর্থনীতি বাংলাদেশকে বিপর্যস্ত করে রেখেছিল। হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করার জন্য যে বিদ্রোহ হয়েছিল, তাতে ১,৪০০-রও বেশি ছাত্র-জনতা নিহত হন। এর ফলে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো বিশৃঙ্খল হয়ে পড়ে এবং সরকারের প্রতি মানুষের আস্থা ভেঙে পড়ে।


ইউনূসের সামনে বাড়তে থাকা অভ্যন্তরীণ চাপগুলো হলো-


নিরাপত্তা শূন্যতা: হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতা হারানোর পর পুলিশ বাহিনী তাদের দায়িত্বে ফিরে যেতে একপ্রকার অনিচ্ছুক, যার ফলে কিশোর গ্যাংয়ের উত্থান ও সংখ্যালঘুদের ওপর হয়রানি বেড়েছে। প্রায় প্রতিদিনই শোনা যাচ্ছে নারী নির্যাতন ও ধর্ষণের মতো ঘটনা।


ইসলামপন্থিদের পুনরুত্থান: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নড়বড়ে অবস্থার সুযোগ উগ্রপন্থি ইসলামিস্টদের উত্থান শুরু হয়েছে। হাসিনার আমলে নিষিদ্ধ হিজবুত তাহরীরের মতো গোষ্ঠীগুলোও প্রকাশে কর্মসূচি পালন করার সাহস দেখিয়েছে।


অর্থনৈতিক বিপর্যয়: হাসিনার শাসনামলে ব্যাংকগুলো লুটপাটের শিকার হয়েছে, যার ফলে সেগুলো দেউলিয়াত্বের মুখে পড়েছে। হাসিনার মিত্রদের দ্বারা ১৭ বিলিয়ন ডলার আত্মসাৎ করা হয়েছে, যার মধ্যে যুক্তরাজ্যের এমপি টিউলিপ সিদ্দিকও রয়েছেন। পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা পিছিয়ে পড়ায় জনগণের অসন্তোষ বাড়ছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | সারা বিশ্ব
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২.০০ পূর্বাহ্ন
আপডেট : মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫, ২.০০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ