ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

প্রশাসনে রাজনীতির প্রভাব: আমলাদের ভূমিকা

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার :
নিউজটি দেখেছেনঃ 1705893 জন
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1705893 জন
প্রশাসনে রাজনীতির প্রভাব: আমলাদের ভূমিকা
ছবি : সংগৃহীত

দেশের আমলাতন্ত্রের ভিত্তি স্থাপন করে সিভিল সার্ভিস পাকিস্তান (সিএসপি) কর্মকর্তারা। স্বাধীনতার আগে প্রশাসনে রাজনৈতিক প্রভাব কম থাকলেও স্বাধীনতার পর সিএসপি আমলাদের রাজনৈতিক আনুগত্য বাড়তে শুরু করে। প্রথম সাত মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মধ্যে ছয়জন অবসরের পর রাজনীতিতে সক্রিয় হন।


এইচটি ইমাম, স্বাধীনতার পর প্রথম মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রশাসনকে দলীয়করণের কাজে নিয়োজিত হন। ১৯৬২ সালে সিএসপিতে যোগ দিয়ে ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।


এসএম শফিউল আজম, পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসে ১৯৫০ সালে যোগ দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের মুখ্যসচিব ছিলেন। চাকরি শেষে ১৯৭৬ থেকে ১৯৮৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ছিলেন।


আবদুল মোমেন খান, ১৯৫৪ সালে সিএসপিতে যোগদান করে ১৯৭৭ সালে জিয়াউর রহমানের উপদেষ্টা কাউন্সিলে যুক্ত হন এবং বিএনপি থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।


মোহাম্মদ কেরামত আলী, ১৯৪৮ সালের প্রথম ব্যাচের সিএসপি অফিসার, ১৯৯১ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন।


এম মহবুবউজ্জামান, ১৯৮৭ সালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হন। তার উত্তরসূরি মো. মুজিবুল হক পরে রাজনীতিতে সক্রিয় হননি।


মহীউদ্দীন খান আলমগীর, ১৯৬৫ ব্যাচের সিএসপি কর্মকর্তা, ১৯৯৬ সালে রাজনৈতিক যোগাযোগ বাড়াতে শুরু করেন এবং ১৯৯৭ সালে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।


এই তথ্যগুলো থেকে স্পষ্ট যে, আমলারা কিভাবে রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে প্রশাসনের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করেছেন।





নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার :

আপডেট :