রোববার (২৭ জুলাই) মাদারীপুর সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর কনের বাড়িতে পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ে হয়।
সিতিয়ান জিং চীনের সাং হাই শহরের সি জিং নিংয়ের ছেলে। তারা দুই ভাই। সাং হাই শহরে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করেন তিনি। উত্তর মহিষেরচর এলাকার সাইদুর মুন্সির মেয়ে সুমাইয়া আক্তার।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানান, সিতিয়ান জিংয়ের সঙ্গে টিকটকে পরিচয় হয় সুমাইয়ার। পরে ইউটার্চের মাধ্যমে কথা আদান-প্রদান হয়। উভয়ই সফটওয়্যারের মাধ্যমে লেখা অনুবাদ করে মনের ভাব আদান-প্রদান করেন। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সর্ম্পক হয়।
সাড়ে চার মাসের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ২৪ জুলাই চীন থেকে বাংলাদেশে আসেন সিতিয়ান জিং। ঢাকা থেকে ২৬ জুলাই মাদারীপুর মহিষেরচর সুমাইয়ার বাড়িতে আসেন তিনি। সুমাইয়ার বাবা ও তার দুই আত্মীয় ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে রিসিভ করে তাকে মাদারীপুরে নিয়ে আসেন। বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারায় মোবাইলে অনুবাদ করে কথা আদান-প্রদান করেন সিতিয়ান জিং। পরে ২৭ জুলাই তারা বিয়ে করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে সুমাইয়ার বাড়িতে আশ-পাশের শত-শত মানুষ ভীড় করতে থাকেন।
এ বিষয়ে সুমাইয়া আক্তার বলেন- সাড়ে চার মাসের প্রেমের টানে চীন থেকে বাংলাদেশে চলে আসবেন এটা কখনও ভাবিনি। প্লেনে ওঠার সময় তিনি বলেছেন আমি বাংলাদেশে আসতেছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করেনি। যখন ইন্ডিয়া এসে আমাকে জানায়, তখন বিশ্বাস করেছি। তার মা-বাবাকে আমার কথা বলেছে। সুমাইয়া মুসলিম। সিতিয়ান জিংয়ের মা বলেছেন আমাকে বিয়ে করে চীনে নিয়ে যেতে। তাই সিতিয়ান জিং বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করেছেন। এর মধ্যে পাসপোর্ট করতে দিয়েছি। ও এক মাস বাংলাদেশে থাকবে। এর মধ্যে আমার সব কাগজপত্র রেডি করা হবে। তারপর ও আমাকে চীনে নিয়ে যাবে।