ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

মাস্টারদা সূর্যসেনকে মুছে ফেলা যাবে না : বাসদ

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১.১২ অপরাহ্ন

আপডেট : রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১.১২ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1117330 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1117330 জন
মাস্টারদা সূর্যসেনকে মুছে  ফেলা যাবে না : বাসদ
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের সেনানায়ক বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেনের ৯১ তম ফাঁসি দিবসে পুষ্পমাল্য অর্পণ ও সমাবেশ করে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল- বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখা। নগরীর আন্দরকিল্লাস্থ জেএমসেন হল প্রাঙ্গনে সূর্য সেনের আবক্ষ ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাসদ চট্টগ্রাম জেলা শাখার ইনচার্জ আল কাদেরী জয়, সদস্য আকরাম হোসেন, আহমদ জসীম, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম চট্টগ্রাম জেলা সদস্য সুপ্রীতি বড়ুয়া, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রায়হান উদ্দিন, চট্টগ্রাম নগর শাখার সভাপতি মিরাজ উদ্দিন, উম্মে হাবিবা শ্রাবণীসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 


এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৩০ সালে চট্টগ্রাম মাস্টারদা সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহ এদেশের জনগণের সংগ্রামের  এক অনন্য  ইতিহাস। বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের দু'শ বছরের লড়াইয়ে চট্টগ্রামকে স্বাধীন করার এই ঘটনা সেদিন পুরো ভারতবর্ষের জনগণকে শক্তি ও সাহস সঞ্চার করে। সাম্রাজ্যবাদী শোষণ, লুন্ঠন ও উপনিবেশিক পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার স্বপ্ন জাগিয়েছিলেন মাস্টারদা সূর্য সেন ও তাঁর সহযোদ্ধারা। একটা গণতান্ত্রিক, শোষণ ও বৈষম্যহীন দেশের জন্য তাদের সেই লড়াই এখনো চলছে।


আজ গণভ্যুত্থানে আওয়ামী ফ্যাসীবাদী সরকারের পতন হলেও সেই ব্যবস্থা এখনো পাল্টায় নি।দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি, সিন্ডিকেট-শেয়ার বাজারে কারসাজি,  আইনশৃঙ্খলার অবনতি,নারী নির্যাতন, মন্দির- মাজারে হামলাসহ জনগণের জীবন ও জীবিকার প্রতিনিয়ত সংকট ঘনীভূত হচ্ছে। একইসাথে আমাদের দেশের সংবিধান, জাতীয় সঙ্গীত, মুক্তিযুদ্ধকে নিয়ে চলছে বিতর্ক ও বিকৃতির ঘৃণ্য প্রয়াস। মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা, মুজিববাদী সংবিধান ছুড়ে ফেলা ইত্যাদি কথার আড়ালে ইতিহাসকে বিস্মৃতি ও বিকৃতি করতে চায়ছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিগুলো ক্ষমতার আশ্রয় ও প্রশ্রয়ে মাথাচাড়া দিচ্ছে।


এই অবস্থায় দেশের জনগণের সামনে আমাদের মুক্তিযুদ্ধ ও বৃটিশবিরোধী আন্দোলনের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে হবে। পতিত স্বৈরাচার কিংবা যুদ্ধপরাধী রাজাকার এবং গনবিরোধী শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভবিষ্যতের লড়াই সংগ্রামের পথে বৈষম্যহীন সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম বেগবান করতে হবে।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১.১২ অপরাহ্ন
আপডেট : রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১১.১২ অপরাহ্ন