যুদ্ধ মানেই শত্রু শত্রু খেলা, যুদ্ধ মানেই আমার প্রতি তোমার অবহেলা উপরোক্ত লাইন দুটি কবি নির্মলেন্দু গুণের বিখ্যাত যুদ্ধ কবিতার চরন যাতে যুদ্ধ এবং যুদ্ধংদেহী মনোভাবের প্রতি এক ধরনের বিদ্রূপাত্মক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করা হয়েছে। যুদ্ধের ধ্বংসাত্মক দিক এবং এর ফলে সৃষ্ট মানবিক সম্পর্কের অবমূল্যায়ন বর্তমান বাস্তবতায় আমাদের মনে করিয়ে দেয় বিশ্বের যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা, মনে করিয়ে দেয় দুর্বলের উপর সবলের অত্যাচারের কথা।
বর্তমানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হওয়ায় ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা ২০২৭ সালের মধ্যেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ তথা পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা করছেন। ইরানের উপর আমেরিকা ইসরায়েলের আক্রমণ এবং ইরানের পাল্টা জবাব, রাশিয়া ইউক্রেনের চলমান যুদ্ধ, চীন তাইওয়ান সংকট এবং ইসরায়েল ফিলিস্তিন যুদ্ধ চলমান থাকায় বিশ্লেষকদের মাঝে এই শঙ্কার সৃষ্টি হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মাতৃভূমির সুরক্ষা ও অন্য দেশ যাতে সহজে যুদ্ধ ঘোষণা করে আক্রমণ না করতে পারে সেজন্য প্রতিটি দেশের উচিত তাদের সামরিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা উন্নত করা।
বিশ্বের অন্যতম পরাশক্তি হিসেবে সম্পূর্ণ আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে আমেরিকা ২০০১ সালে আফগানিস্তানে এবং ২০০৩ সালে ইরাকে আক্রমণ করে। এক্ষেত্রে রাশিয়াও পিছিয়ে নেই, তারাও আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে ২০২২ সালের ২৪শে ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে। অন্যদিকে ২০২৫ সালের ১৩ জুন ইসরায়েলও আগ্রাসী মনোভাব নিয়ে আমেরিকার উপর ভর করে ইরান আক্রমণ করে। রাশিয়া কর্তৃক ইউক্রেন এবং ইসরায়েল কর্তৃক ইরান দুটি আক্রমণকেই আন্তর্জাতিকভাবে দুর্বলের উপর সবলের আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। কিন্তু ইরান এবং ইউক্রেন যদি পারমাণবিক শক্তিধর রাষ্ট্র হতো অথবা তাদের যদি আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা উন্নত হতো তাহলে কি তাদের এত সহজে আক্রমণ করা যেতো?
এমন অবস্থায় ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক সক্ষমতার বিষয়ে মূল আলোচনায় আসা যাক। যেহেতু বাংলাদেশের সাথে সরাসরি সীমান্ত রয়েছে যথাক্রমে ভারত ও মায়ানমারের। এর মধ্যে সামরিক সক্ষমতায় ভারত সমগ্র বিশ্বে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে এবং মিয়ানমারও কিছু ক্ষেত্রে সামরিক দিক দিয়ে বাংলাদেশ থেকে এগিয়ে রয়েছে। আবার সরাসরি সীমান্ত না থাকা একদেশও অন্য দেশে আক্রমণ চালাচ্ছে। যেমন ইসরায়েলের সাথে ইরানের সীমান্ত না থাকার পরও ইসরায়েল ইরানে আক্রমণ করেছে।
তাই প্রতিবেশী রাষ্ট্র বা অন্য রাষ্টের আগ্রাসী মনোভাব মোকাবিলা করতে গেলে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমেরিকা ইসরায়েল যখন ইরানে আক্রমণ করে তখন ইরানকে সহায়তা করতে কোন রাষ্ট্র এগিয়ে আসেনি। যা মনে করিয়ে দেয় নিজের প্রতিরক্ষা নিজেকেই করতে হবে, অন্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে বসে থাকা যাবেনা।
বাংলাদেশ সামরিক দিক থেকে আসলে কতটুকু উন্নত তা বিশ্লেষণ করে দেখা যাক। গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার ইনডেক্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে বিশ্বে সামরিক শক্তির দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ৩৭ তম। এ রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের মোট সামরিক বাহিনীর আকার প্রায় ৭ লাখ। এর মধ্যে সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা ১ লাখ ৬৩ হাজার। এছাড়া বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে রয়েছে ১৭,৪০০ সদস্য এবং নৌবাহিনীতে রয়েছে ২৫,১০০ নৌসেনা।
গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার রিপোর্টে দেখা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাছে সবমিলিয়ে সামরিক যান রয়েছে ১৩ হাজার ১০০টি। যার মধ্যে ট্যাঙ্ক রয়েছে ৩২০টি, কামান রয়েছে ৪৬৪টি, মাল্টিপল রকেট লঞ্চার সিস্টেম (এমএলআরএস) রয়েছে ৭৭টি, এছাড়া রয়েছে বিভিন্ন ধরনের আর্মড পারসোনেল ক্যারিয়ার বা এপিসি।
অন্যদিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর বহরে ২১২টি বিমান আছে, যেখানে যুদ্ধ বিমান রয়েছে ৪৪টি। যার মধ্যে চীনের নির্মিত এফ সেভেন যুদ্ধবিমান আছে ৩৬ টি এবং সোভিয়েত ইউনিয়নে তৈরি মিগ-টোয়েন্টি নাইন রয়েছে আটটি। এছাড়াও প্রশিক্ষণ বিমান ৮৫টি যার মধ্যে ১৪ টি ইয়াক-১৩০ বিমান আছে যেগুলো প্রশিক্ষণের কাজে ব্যবহৃত হলেও হালকা আক্রমণ চালানোর উপযোগী। এর সাথে হেলিকপ্টার রয়েছে ৭৩টি, পরিবহণ বিমান আছে ১৬টি এবং বিশেষ অভিযানের জন্য রয়েছে চারটি যুদ্ধবিমান।
এছাড়া বাংলাদেশ নৌবাহিনীর কাছে সব মিলিয়ে নৌযান রয়েছে ১১৭ টি। এর মধ্যে সাবমেরিন রয়েছে দু’টি, দুটিই চীনের তৈরি এবং ২০১৭ সালে এগুলো নৌবাহিনীতে যুক্ত হয়। এছাড়া ফ্রিগেট রয়েছে সাতটি এবং ছয়টি কর্ভেট যুদ্ধজাহাজ রয়েছে। এর সাথে রয়েছে টহল নৌযান ৩০টি এবং মাইন ওয়ারফেয়ার পাঁচটি।
যেহেতু বর্তমান সময়ে স্হল অভিযান অপেক্ষা যুদ্ধে এগিয়ে থাকা নির্ভর করে উক্ত দেশটির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হার উপর। এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) মাহমুদ হোসেন এক সাক্ষাৎকারে বলেন, 'আধুনিককালের যুদ্ধে এখন আর কেউই সরাসরি গ্রাউন্ড ট্রুপ নামায় না। আক্রমণটা হয়। আকাশসীমায়। সেহেতু সব মিলিয়ে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাই পরিণত হয়েছে আধুনিক যুদ্ধের প্রথম ও প্রধান প্রাচীর হিসেবে।
এর বাস্তবতাও দেখা গেছে ভারত-পাকিস্তানের অতিসাম্প্রতিক যুদ্ধে। যেখানে পাকিস্তানের ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে ভারত ব্যবহার করেছে রাশিয়ায় তৈরি অত্যাধুনিক এস-৪০০ কিংবা ভারত-ইসরায়েলের যৌথভাবে তৈরি বারাক-৮। বিপরীতে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ঠেকাতে পাকিস্তান ব্যবহার করেছে চীনের দীর্ঘপাল্লার এইচকিউ ৯/পি ও মাঝারি পাল্লার এলওয়াই-৮০।
অন্যদিকে ইরান ইসরায়ের যুদ্ধে ইরান মোট ৫৩২টি মিসাইল ছুড়েছে ইসরায়েলে যার মধ্যে ৪২টি মিসাইল ভূমিতে আঘাত হেনেছে অর্থাৎ ইরানের ছোড়া ৯২ শতাংশ মিসাইল ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা আয়রন ডোম, বারাক-৮, ডেভিড'স স্লিং, থাড, অ্যারো-২ ও অ্যারো-৩ ঠেকিয়ে দিয়েছে। তাই বাংলাদেশকে সার্বভৌমত্ব রক্ষায় অবশ্যই আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা উন্নত করতে হবে।
এবার আসা যাক বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হার বিষয়ে। যে কোন দেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা নির্ভর করে মূলত ৩ টি বিষয়ের উপর যার মধ্যে রয়েছে যুদ্ধ বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং রাডার নেটওয়ার্ক। যেখানে উচ্চগতির ফাইটার জেট, ক্রুজ মিসাইল কিংবা দূরপাল্লার বোমারু বিমানের বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হলে মধ্য ও দীর্ঘপাল্লার সমন্বিত ব্যবস্থা আবশ্যক। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বাহিনী দেশের নিরাপত্তায় চীনের তৈরি শর্ট রেঞ্জের মিসাইল সিস্টেম FM 90 ব্যবহার করে থাকে যা HQ-7B নামেও পরিচিত। এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ড্রোন, হেলিকপ্টার এবং কম উচ্চতায় উড়োজাহাজ ধ্বংস করতে সক্ষম। তবে, এটি উচ্চ গতির যুদ্ধ বিমান বা দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের বিরুদ্ধে ততটা কার্যকর নয়।
বাংলাদেশের রাডার ব্যবস্থা বর্তমানে আধুনিকায়নের পথে রয়েছে। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি নতুন অত্যাধুনিক রাডার স্থাপন করা হয়েছে, যা দেশের আকাশসীমা এবং সমুদ্রসীমা নজরদারিতে সহায়তা করবে বলে আশা প্রকাশ করেন বেবিচক চেয়ারম্যান। এছাড়া, বিমানবাহিনীও গত ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ৭১ নম্বর স্কোয়াড্রনে স্থাপন করে অত্যাধুনিক জিএম ৪০৩ এম আকাশ প্রতিরক্ষা রাডারের। এর বাইরে গত ১০ বছর ধরে বিভিন্ন ডিফেন্সিড রাডার বসানো হয়েছে।
বাংলাদেশের রাডার ব্যবস্থা বর্তমানে আধুনিকায়নের পথে থাকলেও তা পর্যাপ্ত নয়। দেশের আকাশসীমা হওয়া সত্ত্বেও বঙ্গোপসাগরের ওপর আন্তর্জাতিক রুটের একটি অংশ ও দক্ষিণ সুন্দরবন ধরে বাংলাদেশের একটি অংশ কলকাতার এফআইআর নিয়ন্ত্রিত। এছাড়াও সেন্ট মার্টিনের একটি অংশ ও পার্বত্য চট্টগ্রাম পড়েছে ইয়াঙ্গুন এফআইআরের অধিনে।
আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার আরেকটি অবিচ্ছেদ্য অংশ ড্রোন যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর কাছে ৪৪টি ড্রোন রয়েছে। এর মধ্যে ৩৬টিই স্লোভেনিয়ায় নির্মিত ব্রামর সি ফোর আই। তুরস্কের তৈরি বায়রাখতার টিবি টু আছে ছয়টি। গত বছরই এগুলো যুক্ত হয়।
তবে বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষায় সবচেয়ে বড় যে ফাঁকটি রয়েছে, তা হলো মাঝারি ও দূরপাল্লার সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম। এর অনুপস্থিতির কারণে দেশের আকাশসীমা পুরোপুরি উন্মুক্ত থাকবে উচ্চমাত্রার হামলার সামনে। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত এরই মধ্যে এস-৪০০ ট্রায়াম্প সিস্টেম মোতায়েন করেছে, যার ফলে তাদের আকাশসীমা ৪০০ কিলোমিটার পর্যন্ত সুরক্ষিত। মিয়ানমারও সংগ্রহ করেছে এসইউ৩০এসএমই এবং জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান। এমনকি ভিয়েতনামের মতো মধ্যম শক্তির দেশেও এখন ড্রোন ও মিসাইল প্রতিহত করার স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা আছে। এ বাস্তবতার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না বাংলাদেশ।
এ প্রেক্ষাপটে বিশেষজ্ঞগণ বলছেন যে, বাংলাদেশের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অন্ততপক্ষে এমনভাবে উন্নত করতে হবে যাতে সমুদ্রসীমার ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত মিসাইল সিস্টেম পৌঁছাতে পারে এবং রাডার নজরদারি করতে পারে। এজন্য মাঝারি ও দূরপাল্লার সারফেস টু এয়ার মিসাইল সিস্টেম উন্নত করতে হবে।
গত ২৭ নভেম্বর ২০২৪ নিজেদের সক্ষমতা জানান দিতে আকাশ থেকে ভূমিতে গোলাবর্ষণ মহড়া-২০২৪ (এক্সারসাইজ ফ্ল্যাশ পয়েন্ট) পরিচালনা করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী। উক্ত মহড়া সম্পর্কে আইএসপিআর জানায় যে, প্রদর্শনীতে যেসব বিমান ছিল তার মধ্যে বিমান বাহিনীর মিগ-২৯বি/ইউবি, এফ-৭/এফটি-৭ এবং কে-৮ডব্লিউ যুদ্ধবিমানগুলি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে তাদের নির্ভুল আক্রমণ ক্ষমতা এবং তৎপরতা প্রদর্শন করে এবং শত্রুর ব্যুহ ভেদ করে বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তু সমূহ নির্মূল করে। এছাড়া এএন-৩২ পরিবহন বিমান রশদ সরবরাহ, কার্গো ড্রপ ও এয়ারলিফ্ট অপারেশন পরিচালনা করে। এর বাইরে এমআই-১৭, এডব্লিউ-১৩৯ এবং বেল-২১২ হেলিকপ্টারগুলি আকাশ হতে ভূমিতে গোলাবর্ষণ, ক্লোজ এয়ার সাপোর্ট এবং অনুসন্ধান ও উদ্ধারে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করে।
তবে বিমান বাহিনীর এসব সক্ষমতা বর্তমান আধুনিক বিশ্বের উন্নত ব্যবস্হার সমকক্ষ দূরে থাক, ধারে কাছেও নেই বলে অধিকাংশ বিশ্লেষক মনে করেন। এ বিষয়ে মেজর জেনারেল (অব.) ফজলে এলাহী আকবর বলেন, 'আমাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা একেবারে জিরো না হলেও জিরোর কাছাকাছি। যে প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে আধুনিক সামরিক প্রযুক্তির প্রেক্ষাপটে এগুলোর কার্যকারিতা আছে বলে মনে করি না।
তবে এত সীমাবদ্ধতা থাকার পরও সম্প্রতি আশার কথা জানিয়েছেন দেশের বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন। এক অনুষ্ঠানে তিনি জানান আকাশসীমার ওপর যে কোনো হুমকি মোকাবিলা করতে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী প্রস্তুত আছে। তবে তিনি অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা কবে সংযোজন হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
যেহেতু বাংলাদেশের সামরিক নীতি আক্রমণাত্মক নয় বরং প্রতিরক্ষা নির্ভর। তাই সেই প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করতে হলে আকাশ প্রতিরক্ষার সক্ষমতা বৃদ্ধি করা সরকারের নিকট জনগণের সময়ের দাবি। এর জন্য প্রয়োজন যথাযথ পরিকল্পনা, সামরিক বাহিনীর আধুনিকায়ন, সামরিক বাজেটে প্রতিরক্ষা ক্রয় বাড়ানো, সুনির্দিষ্ট বিনিয়োগ ও দক্ষ জনবল তৈরির সুসংহত উদ্যোগ যা আগামী বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা সুনিশ্চিত করবে।
লেখক: তামজিদুর রহমান, সাংবাদিক ও কলামিস্ট।
(এই লেখাটি সম্পূর্ণভাবে লেখকের নিজস্ব মতামত। এতে ব্যবহৃত সকল তথ্য লেখকের দ্বারা সংযোজিত, এবং কোনো তথ্য বিভ্রাট ঘটলে সংবাদপত্র কর্তৃপক্ষ তার জন্য দায়ী নয়।)