ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

পর্যাপ্ত হওয়া মজুত থাকা সত্ত্বেও চালের দাম লাগামছাড়া

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ১১.৪৯ অপরাহ্ন

আপডেট : শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ১১.৪৯ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 437571 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 437571 জন
পর্যাপ্ত হওয়া মজুত থাকা সত্ত্বেও চালের দাম লাগামছাড়া
ছবি : সংগৃহীত

দেশে পর্যাপ্ত মজুত থাকার পরও এক মাসের বেশি সময় ধরে চালের বাড়তি দামে ভোগান্তিতে রয়েছে নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা। সীমিত আয়ের কারণে অনেকের পক্ষেই এই দামের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলা কঠিন হয়ে পড়েছে। বাজারে ৬০ টাকার নিচে পাওয়া যাচ্ছে না কোনও চাল। গত ১ মাসে মোটা চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা। খুচরা বিক্রেতারা মনে করেন, পাইকারি বিক্রেতাদের সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বেড়েছে।


গত ৫ জুলাই যশোর সার্কিট হাউজে খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার বলেছেন, দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে। খুব শিগগিরই চালের দাম সহনীয় পর্যায়ে আসবে। তিনি বলেন, চলতি মৌসুমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলোতে অতীতের যেকোনও সময়ের তুলনায় বেশি পরিমাণ খাদ্যশস্য মজুত রয়েছে। দেশে খাদ্য মজুত বর্তমানে অত্যন্ত সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।


যদিও শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ঘুরে উল্টো চিত্র দেখা গেছে। বাজারে সবচেয়ে মোটা স্বর্ণা চালের দাম ৬০ টাকা  কেজি। এক মাস আগেও এ চালের দাম ছিল ৫৪ থেকে ৫৫ টাকা। বাজারে ৫৮ থেকে ৬০ টাকার পাইজাম এখন ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, ৬০ টাকার হাস্কি ২৯ ও লতা ২৮ চালের দাম ৬৪ টাকা। খুদ চালের দামও ৫৫ টাকা। এছাড়া বাসমতি ৯৫, কাটারি নাজির ৭৫ থেকে ৯০ টাকা, কাটারি ভোগ ১২০ টাকা, ১ নম্বর জিরা নাজির ৮০ টাকা, মিনিকেট ৭৬ থেকে ৮৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।


ঢাকার খুচরা দোকানগুলোতে দাদা, রশিদ ব্র্যান্ডের প্রতি কেজি ৮০ টাকা, দেশ ৮৫ টাকা, কাটারি নাজির ৮৫, জিরা নাজির ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


চালের দাম বাড়ার কারণ জানিয়ে রাজধানীর রায়সাহেব বাজারের শামসুল স্টোরের বিক্রেতা মানিক বলেন, বাজারে কিন্তু চালের সংকট নেই। পর্যাপ্ত উৎপাদন ও মজুত আছে। এরপরও ৬০ টাকার নিচে চাল নেই। মূলত প্রাণ, তীর, আকিজ, ফ্রেশসহ বড় বড় কোম্পানিগুলো চালের বাজারে ঢুকে সিন্ডিকেট করে দাম বাড়িয়েছে। এটা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। তাদের নিয়ন্ত্রণের কেউ নেই বলে মনে করেন এ বিক্রেতা।


মোহাম্মদ হোসেন রাইস মিলের কর্মচারী বলেন, এক মাস ধরে চালের দাম বাড়তি। মূলত মোটা চালের দাম কেজিতে ৪ থেকে ৫ টাকা বেড়েছে। এর আগে চিকন চালের দাম বেড়েছিল। বর্তমানে চিকন চাল আগের বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আর মোটা চালও চিকন চালের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে

 

অস্বস্তি নিম্ন ও মধ্যবিত্তের সংসারে


চালের বাড়তি দামে অস্বস্তিতে রয়েছেন মধ্যবিত্তরা। দীর্ঘদিন ধরে নিত্য এই পণ্যের বাড়তি পকেটের বেশির ভাগ ফুরিয়ে যাচ্ছে। হিসাবের সীমিত টাকায় টান পড়ার অভিযোগের পাশাপাশি সরকারের হস্তক্ষেপ চাচ্ছেন তারা।

 

বেসরকারি স্কুলের শিক্ষিকা আনজুমান আরা বলেন, ৬৫ থেকে ৭০ টাকা ছিল মিনিকেটের দাম। আর এখন মিনিকেটের দাম ৭৫ থেকে ৮৫ টাকা। মিনিকেটের পরিবর্তে এখন পাইজাম আর লতা চাল নিচ্ছি। যেভাবে দাম বাড়তেছে, সামনের দিকে গুটি বা মোটা চাল খাওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।

 

তিনি আরও বলেন, আমাদের বেতন আগের জায়গায় আছে। সংসারের খরচ আরও বেড়েছে।  ম্যানেজ করা ছাড়া উপায় নেই।


বেসরকারি কোম্পানির চাকরিজীবী মুমিনুর রহমান বলেন, আগে বস্তা নিতাম ২ হাজার ৯০০ করে, এখন সেটা হয়েছে ৩ হাজার ২০০ টাকা। বাজারে খরচের সঙ্গে বেতনের কোনও সামঞ্জস্য পাই না। চাল নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস। এটার দাম বাড়ছে তো বাড়ছেই। সরকারের উচিত চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করা।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ১১.৪৯ অপরাহ্ন
আপডেট : শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫, ১১.৪৯ অপরাহ্ন