ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

স্মৃতিতে অম্লান মহানায়ক, হারানোর ১৫ বছর

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২.৪৯ পূর্বাহ্ন

আপডেট : বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২.৫০ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 453148 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 453148 জন
স্মৃতিতে অম্লান মহানায়ক,  হারানোর ১৫ বছর
ঢাকাই চলচ্চিত্রের ‘মহানায়ক’ বুলবুল আহমেদ। ছবি: সংগৃহীত

তার বিচরণ ছিল বাংলা চলচ্চিত্রের সাদাকালো যুগে। কিন্তু সাদাকালো পর্দার অভিনেতা হয়েও তিনি কালের সীমানা পেরিয়ে একাধিক প্রজন্মের মনে রঙিন আলো ছড়িয়েছেন। সুদর্শন নায়ক বলতে যে’কজন সত্তর-আশির দশকে বাঙালি দর্শকের মন জয় করেছেন, তরুণীদের স্বপ্নের পুরুষ হয়েছেন- তাদের অন্যতম বুলবুল আহমেদ। ঢাকাই চলচ্চিত্রে তাকেই প্রথম ‘মহানায়ক’ বলা হয়। 


এমনকি ঢালিউডের প্রথম ‘দেবদাস’ও তিনিই। বরেণ্য এই অভিনেতার চলে যাওয়ার দিন আজ। ২০১০ সালের ১৫ জুলাই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই মহাতারকা। আজ তার প্রয়াণের ১৫ বছর পূর্ণ হলো।


বুলবুল আহমেদ ফাউন্ডেশেনের উদ্যোগে মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বুলবুল স্মরণে দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার মেয়ে অভিনেত্রী ও মডেল তাজরিন ফারহানা ঐন্দ্রিলা।


বুলবুল আহমেদের জন্ম ১৯৪১ সালে পুরান ঢাকায়। তার আসল নাম তাবারক আহমেদ, তার পিতামাতা তাকে ‘বুলবুল’ বলে ডাকতেন। আবদুল্লাহ আল-মামুনের পরিচালনায় ‘বরফ গলা নদী’ ছিল অভিনেতার প্রথম টিভি নাটক।


উল্লেখযোগ্য টিভি নাটকগুলো হচ্ছে ‘মালঞ্চ’, ‘ইডিয়ট’, ‘মাল্যদান’, ‘বড়দিদি’, ‘আরেক ফাল্গুন’, ‘শেষ বিকেলের মেয়ে’। ধারাবাহিক ও খণ্ড নাটক মিলিয়ে চার শতাধিক নাটকে তাকে দেখা গেছে।


১৯৭৩ সালে আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমামের [ইউসুফ জহির] ‘ইয়ে করে বিয়ে’র মাধ্যমে প্রথম সিনেমায় অভিষেক হয় তার। ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ও ‘দেবদাস’ এই দুটি চলচ্চিত্র দিয়ে দর্শকমনে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। 


উল্লেখযোগ্য অন্যান্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ‘মহানায়ক’, ‘সীমানা পেরিয়ে’, ‘সূর্য্যকন্যা’ ‘ধীরে বহে মেঘনা, জীবন নিয়ে জুয়া, রূপালী সৈকতে, বধূ বিদায়, জন্ম থেকে জ্বলছি, ‘দি ফাদার’, ‘দুই নয়নের আলো’। অভিনয়ের পাশাপাশি পরিচালক হিসেবে দেখিয়েছেন মুনশিয়ানা। তার পরিচালিত ‘ওয়াদা’, ‘মহানায়ক’, ‘ভালো মানুষ’, ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ ‘আকর্ষণ’, ‘গরম হাওয়া’, ‘কত যে আপন’ সিনেমাগুলো দর্শকমন জয় করেছে।


অভিনয়ের জন্য বুলবুল আহমেদ চারবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। ১৯৭৭ সালে ‘সীমানা পেরিয়ে’, ১৯৭৮ সালে ‘বধু বিদায়’, ১৯৮০ সালে ‘শেষ উত্তর’ ও ‘১৯৮৭ সালে ‘রাজলক্ষ্মী শ্রীকান্ত’ সিনেমার জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | বিনোদন
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২.৪৯ পূর্বাহ্ন
আপডেট : বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১২.৫০ পূর্বাহ্ন