ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে স্ত্রী কুপিয়ে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা ঘাতক স্বামী গ্রেফতার

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২.৪৮ পূর্বাহ্ন

আপডেট : রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২.৫৪ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 450532 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 450532 জন
চট্টগ্রামে স্ত্রী কুপিয়ে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা ঘাতক স্বামী গ্রেফতার
- ছবি সংবাদদাতা প্রেরিত।

চট্টগ্রামে কুপিয়ে শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করে নৃশংসভাবে স্ত্রীকে খুনের পর জানালার গ্রিল ভেঙ্গে পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেফতার মোহাম্মদ সুমন (৩৫) কুমিল্লা জেলার বাসিন্দা হলেও চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানার পাহাড়িকা হাউজিং সোসাইটিতে আর কে টাওয়ার নামে একটি ভবনের দশম তলার এক ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। শুক্রবার (রাতে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানার ফুলবাড়িয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে র‌্যাব জানায়। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, খুনের পর ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর লাশ মোট ১১ টুকরো করে মাংসখণ্ড টয়লেটের কমোডে ফেলে ফ্লাশ করে গুমের চেষ্টা করেছিল।


সুমনের স্ত্রীর নাম ফাতেমা বেগম (৩২), যাকে গত ৯ জুলাই গভীর রাতে বাসায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করে সুমন। পরদিন সকালে পালানোর সময় তাকে ওই ভবনের কয়েকজন ভাড়াটিয়া ও নিরাপত্তা রক্ষী মিলে আটক করে একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখে। কিন্তু ওই কক্ষের জানালার গ্রিল ভেঙ্গে সুমন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিল।


র‌্যাব-৭ থেকে পাঠানো খবর বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ১০ বছর আগে সুমন ও ফাতেমার বিয়ে হয়। এরপর সুমন সৌদি আরব চলে যান। ভিসা সংক্রান্ত জটিলতায় গত বছর তিনি দেশে ফেরত আসেন। এরপর একটি পিকআপ কিনে সেটি চালাতেন সুমন।


সংসারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুমন ও ফাতেমার মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। এ নিয়ে উভয়ের পরিবারের সদস্যদের হস্তক্ষেপে একাধিকবার মীমাংসাও করা হয়। ৯ জুলাই রাতে তাদের বাসায় ৬-৭ জন যুবক আসে, যাদের সুমন চিনতেন না। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে রাতে ঝগড়া শুরু হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে সুমন তার স্ত্রী ফাতেমাকে কুপিয়ে হত্যা করে।


হত্যার পর স্ত্রীর লাশ ১১ টুকরো করে বাথরুমের কমোডের মাধ্যমে ফ্লাশ করে গুমের চেষ্টা করে সুমন। পরদিন ১০ জুলাই ভোরে ওই বাসায় অস্বাভাবিক শব্দ শুনে ও দুর্গন্ধ পেয়ে নিরাপত্তা রক্ষী সেখানে যান। দরজায় কলিংবেল চেপে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে ডাকাডাকির পর সুমন দরজা খুলে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। তখন অন্যান্য বাসার লোকজন ও মশিউর মিলে তাকে আটকে ফেলে। তাকে একটি কক্ষে রেখে পুলিশকে খবর দেন তারা। কিন্তু সুমন ওই বাসার জানালার গ্রিল ভেঙ্গে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফাতেমার ভাই আনোয়ার হোসেন নগরীর বায়েজিদ বোস্তামি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/এনকেডি

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২.৪৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫, ১২.৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ