কুমিল্লার তিতাসে একই পরিবারের বাকপ্রতিবন্ধী বাবা ও মেয়েসহ ৩জনের বিষপানের ঘটনা ঘটেছে। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ২জনকে মৃত ঘোষণা করেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বাবা মনু মিয়াকে ঢাকায় রেফার করেন। সোমবার সকাল ৯টার দিকে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে উপজেলার জগতপুর ইউনিয়নের তুলাকান্দি গ্রামে।
প্রতিবন্ধী মনু মিয়া ওই গ্রামে মুকবল মিয়ার ছেলে। নিহত মোঃ মনিরা আক্তার (৮) ও ফাতেহা আক্তার (৫) মনু মিয়ার মেয়ে। মনু মিয়ার স্ত্রী হাসিনা বেগমের ভাষ্যমতে তার স্বামী মনু মিয়া ও মেয়ে দু'জনই বাকপ্রতিবন্ধী। সংসারের দারিদ্রতা প্রতিবেশীদের কুটুক্তির কারণে হতাশাগ্রস্ত হয়ে কোমল পানিয় "লাচ্ছির" র সাথে বিষ মিশিয়ে প্রথমে দু'টি মেয়েকে খাওয়ানো হয় এবং পরে সে নিজেও বাকিটুকু বিষমিশ্রিত পানীয় পান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
বিষক্রিয়া ছটফট দেখে তাদের উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে ডাক্তার মনিরা ও ফাতেহাকে মৃত ঘোষণা করে এবং আশঙ্কাজনক অবস্থায় মনু মিয়াকে ঢাকায় রেফার করেন।
একই দিনে উপজেলার কলাকান্দি ইউনিয়নের মাছিমপুর কবরস্থানের গাছে ডালে পঞ্চাশোর্ধ অজ্ঞাত ব্যক্তির জুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে তিতাস থানা পুলিশ।
সোমবার দুপুরে কবরস্থান থেকে দুর্গন্ধ বেরুলে স্থানীয়রা লাশটি দেখে তিতাস থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অর্ধ গলিত এ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করেন।
এবিষয়ে তিতাস থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শহিদ উল্যাহ জানান, আমরা একই পৃথক স্থান থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতালে প্রেরণ করেছি। মনু মিয়ার পরিবারের ভাই-বোন ও মেয়েরা প্রতিবন্ধী হওয়ায়, হতাশা ও পারিবারিক দারিদ্রতা থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি।