ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

সেনা হেফাজতে পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1796672 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1796672 জন
সেনা হেফাজতে পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দাপ্রধান
ছবি : সংগৃহীত

পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের সাবেক প্রধানকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। দেশটির সেনাবাহিনী সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। গত বছর প্রকাশিত সুপ্রিম কোর্টের নথি অনুসারে, তার বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার এবং একটি ডেভেলপার কম্পানিতে অভিযান চালানোর অভিযোগ আনা হয়েছিল। আদালত কম্পানিটিকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।


লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদ কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মেয়াদকালে কাজ করেছিলেন। তিনি ২০২২ সালের ডিসেম্বরে পদত্যাগ করেন।


সেনাবাহিনীর মিডিয়া উইং এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মেনে পাকিস্তান সেনাবাহিনী একটি বিশদ তদন্ত পরিচালনা করেছে। ফলস্বরূপ লেফটেন্যান্ট জেনারেল ফয়েজ হামিদের (অব.) বিরুদ্ধে যথাযথ শৃঙ্খলাভঙ্গমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।


বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, কোর্ট মার্শালের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে এবং হামিদকে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তার অবসর গ্রহণের পর থেকে পাকিস্তান সেনা আইন লঙ্ঘনের একাধিক ঘটনাও প্রমাণিত হয়েছে।


পাকিস্তানে উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তারের ঘটনা অস্বাভাবিক। আইএসআই প্রধান সাধারণত পাকিস্তানে সেনাবাহিনীর প্রধানের পর দ্বিতীয় সর্বাধিক শক্তিশালী সামরিক কর্মকর্তা হিসেবে বিবেচিত হন।


এ ছাড়া দেশটিতে স্বাধীনতার পর ৭৭ বছরের মধ্যে ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক বাহিনী শাসন করেছে এবং এখনো তাদের প্রভাব ধরে রেখেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, সামরিক বাহিনী পাকিস্তানের সবচেয়ে শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান এবং এটি প্রতিটি বেসামরিক সরকারের উত্থান ও পতনের পেছনে রয়েছে। ইমরান খানের একজন সক্রিয় সমর্থক ছিলেন হামিদ। ইমরান শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বের কিছু অংশের কাছ থেকে আস্থা হারানোর পর অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন। একবার বাহিনীর শীর্ষ পদ সেনাপ্রধানের প্রতিযোগী হিসেবে পরিচিতি পেলেও ইমরান খান ক্ষমতা হারানোর কয়েক মাস আগে হামিদ অবসর গ্রহণ করেন।


পরে ইমরান খান সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে একপ্রকার বিদ্রোহী প্রচারণা শুরু করেন। কিন্তু ২০২৩ সালের মে মাসে দুর্নীতির অভিযোগে তার গ্রেপ্তার দেশব্যাপী সহিংস বিক্ষোভের জন্ম দেয় এবং সেনা স্থাপনাগুলোর বিরুদ্ধে নজিরবিহীন ক্ষোভ সৃষ্টি করে। এতে তার পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু হয়। দলের সদস্যরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধ্য হন। তবে ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনে সর্বাধিক আসন জয় করেন তারা। তবে বিশ্লেষকদের মতে, সামরিক বাহিনীর সমর্থনপুষ্ট দলগুলোর জোটের কারণেই পিটিআই ক্ষমতায় আসতে পারেনি।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন