ব্যক্ত হোক জীবনের জয়/ব্যক্ত হোক তোমামাঝে অসীমের চিরবিস্ময়, মোর নাম এই বলে খ্যাতহোক আমি তোমাদেরই লোক। ওরে, চারিদিকে মোর/এ কী কারাগার ঘোর/ভাঙ্ধসঢ়; ভাঙ্ধসঢ়; ভাঙ্ধসঢ়; কারা, আঘাতে আঘাত কর/ ওরে,আজ কী গান গেয়েছে পাখি/এয়েছে রবির কর- ঋষিকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাপাঠ, নৃত্যানুষ্ঠান ও রবীন্দ্রসংগীতের অমিয় ধারার মাঝে সাড়ম্বরে পালিত হলো ১৬৪তম রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী। প্রতি বছরের ন্যায় চট্টগ্রামের বোয়ালখালীস্থ পূর্ব শাকপুরা গ্রামের শতবর্ষী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন চট্টল সুহৃদ সম্মিলনীর উদ্যেগে ২৩ মে শুক্রবার সম্মিলনী চত্বরে এই রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী পর্ষদের আহ্বায়ক সুমন পুরোহিত ঝুলন। সঞ্চালনায় ছিলেন নিশান মিত্র।
সম্মিলনীর সম্মানিত উপদেষ্টা, সংস্কৃতিপ্রেমী শ্রীমতি লক্ষ্মী দেবের পরিচালনায় যৌথকন্ঠে রবিঠাকুরের ‘ও আমার দেশের মাটি’ গানের মাধ্যমে ভাবগাম্ভীর্য পরিবেশে শুরু হয় এবং পর্যায়ক্রমে- আবৃত্তি ও রবীন্দ্রসংগীত প্রতিযোগিতা, রবীন্দ্রনৃত্যানুষ্ঠান, আলোচনাসভা, প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান হয় ও বিচারকমন্ডলীদের সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
রবীন্দ্রনাথের বিশাল সৃষ্টিজগত, সামাজিক অবদানসহ তাঁর রচিত বিভিন্ন রচনা সম্পর্কে দীর্ঘ আলোচনা করেন রবীন্দ্র গবেষক প্রফেসর কানাই দাশ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলনীর পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রূপন কান্তি দে ও সাধারণ সম্পাদক অধীর দে, স্বপন কুমার ঘোষ, তপন কান্তি ভট্টাচার্য, তপন দে, উদয় দে, পিকলু কুমার দে, কিশোর দে, রাজীব দে, জনি দে, রাহুল দে, সৌরভ নাথ, দূর্জয় দে, অভি দে, অলক দে-সহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন- এক নিঃসীম আঁধার আর অনিশ্চয়তা μমাগতভাবে আমাদের জীবনকে গ্রাস করে চলেছে, কুশিক্ষা আর রুচির বৈকল্য দীন করে দিচ্ছে আমাদের মনোজগত। মানুষের অর্ন্তগত সৃজনভাবনা আর শুভবোধের প্রতি অনাস্থা হতাশার তিমিরে ধাবিত করছে তারুণ্যের শক্তি ও সম্ভাবনাকে। এ অবক্ষয় ও দুর্বিপাকে বরাবরের মত রবীন্দ্রনাথই আমাদের আশ্রয়-তিমির বিদারী উদার অভ্যুদয়ের আলোকোজ্জ্বল তাঁর বাণী, গান ও কবিতা। সেই সঞ্জীবনী বাণীর শক্তিকে প্রত্যেকের মনে ও বোধে সঞ্চারিত করতেই এই রবীন্দ্র সাধনার আয়োজন।
তাঁরা আরও বলেন, চট্টল সুহৃদ সম্মিলনীর প্রত্যেক বছরের এ আয়োজন ইতোমধ্যেই ঐতিহ্যে রূপ নিয়েছে। চারদিকের ধর্মতন্ত্রের নিরর্থক কোলাহলে বিভ্রান্ত তারুণ্যের মানবিক ও ঐহিক শক্তির বিকাশের, এ আয়োজন ভবিষ্যত প্রজন্মকে নিশ্চয় উন্নত চিন্তায়-পাঠে প্রাণিত করবে।
রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তী উদযাপন পর্ষদের দায়িত্বে ছিলেন আহ্বায়ক সুমন পুরোহিত ঝুলন ও সদস্য সচিব মিশু দে।