ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

আইনি সহায়তা ছাড়া আইনের শাসন সম্ভব নয়: প্রধান বিচারপতি

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১২.৩৭ পূর্বাহ্ন

আপডেট : শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১২.৩৭ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 671557 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 671557 জন
আইনি সহায়তা ছাড়া আইনের শাসন সম্ভব নয়: প্রধান বিচারপতি

আইনি সহায়তা (লিগ্যাল এইড) দানশীলতার কাজ নয় বরং এটি আইনের শাসনের একটি অপরিহার্য উপাদান বলে উল্লেখ করেছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে গতকাল বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি আয়োজিত “ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে লিগ্যাল এইডের ভূমিকা” শীর্ষক আলোচনা সভা প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।


সুপ্রিম কোর্ট অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এই আলোচনা সভায় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা এবং সাম্যের সাংবিধানিক নীতিতে প্রোথিত বাংলাদেশের একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু যতই মহৎ হোক না কেন, কোন সাংবিধানিক অঙ্গীকারই অর্থবহ হতে পারে না, যদি তা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজনের কাছে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। আর আইনি সহায়তা দানশীলতার কাজ নয় বরং এটি আইনের শাসনের একটি অপরিহার্য উপাদান।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘বাস্তবতা স্বীকার করতে হবে যে, পর্যাপ্ত সম্পদ ছাড়া আইনি সহায়তা সম্ভব নয়। তাই, দেশব্যাপী আইনি সহায়তা পরিষেবাগুলোর নিরবচ্ছিন্ন কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য উপযুক্ত বাজেট বরাদ্দ অপরিহার্য।’ এসময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আইনি সহায়তায় বিনিয়োগ কোনও ব্যয় নয়, এটি আইনের শাসন এবং ন্যায়বিচারের সামাজিক কাঠামোতে বিনিয়োগ।’


বিচারবিভাগ সংষ্কার নিয়ে ঘোষিত নিজের রোড ম্যাপের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘ইতোমধ্যে দুটি যুগান্তকারী উন্নয়ন ঘটেছে। সুপ্রিম জুডিশিয়াল অ্যাপয়েন্টমেন্ট কাউন্সিল এবং সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলকে সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্বাধীন স্বায়ত্তশাসিত সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে কার্যকর করা হয়েছে। এই সংস্থাগুলো এখন যেকোনো নির্বাহী বা আইনসভার হস্তক্ষেপ থেকে মুক্ত হয়ে সর্বোচ্চ আদালতের বিচারকদের নিয়োগ এবং অপসারণের একচেটিয়া ক্ষমতা রাখে। বিচার বিভাগকে বাইরের প্রভাব থেকে বিচ্ছিন্ন করার এবং আমাদের আদালতের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য অপরিহার্য স্বাধীনতাকে শক্তিশালী করার জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।’ সুপ্রিম কোর্টের পৃথক সচিবালয় গঠন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সরকারকে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় গঠনের জন্য একটি বিস্তারিত প্রস্তাবনা জমা দিয়েছি। এই সচিবালয় কোনো বিশেষ সুবিধা নয়, এটি একটি সাংবিধানিক প্রয়োজনীয়তা। একটি স্বাধীন বিচার বিভাগকে অবশ্যই প্রাতিষ্ঠানিকভাবে স্বায়ত্তশাসিত হতে হবে। যাতে এটি নির্বাহী বিভাগের ওপর নির্ভর না করে নিজস্ব প্রশাসনিক, আর্থিক ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা করতে পারে। আমি আশা করি শিগগিরই এর বাস্তবায়ন হবে।’


সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে সারাদেশের বিচারপ্রার্থীদের জন্য ৬৪ জেলায় ও ৮ মহানগরীর অধস্তন আদালতে সুপ্রিম কোর্টের আদলে হেল্পলাইন সেবার উদ্বোধন করেন প্রধান বিচারপতি। আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন আপিল বিভাগের বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল ড. আজিজ আহমেদ ভূঞা, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক সৈয়দ আজাদ সুবহানী ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান হাইকোর্টের বিচারপতি কাজী জিনাত হক। আর শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব এডভোকেট এ এম জামিউল হক (ফয়সাল)। অনুষ্ঠানে হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইডের প্যানেল আইনজীবীবৃন্দ এবং সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১২.৩৭ পূর্বাহ্ন
আপডেট : শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫, ১২.৩৭ পূর্বাহ্ন