রাজধানীর শাপলা চত্বরে ২০১৩ সালের ৫ মে হেফাজতে ইসলামের অবস্থান কর্মসূচিতে গণহত্যার বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে মানবপ্রাচীর কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির। সোমবার নগরীর জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের উত্তর গেইটে এ কর্মসূচিতে সংগঠনটির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী অংশ নেন।
কর্মসূচিতে চট্টগ্রাম মহানগর দক্ষিণ ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইব্রাহীম হোসেন রনি বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে সাধারণ ইসলামপ্রিয় জনতা শাপলা চত্বরে অবস্থান নেয় রাসুল ও ইসলামের অবমাননাকারী নাস্তিক ব্লগারদের বিচারের দাবিতে। পতিত স্বৈরাচার হাসিনার হিংস্ররূপ সেদিন দেশের জনগণ প্রত্যক্ষ করেছিল। তারা দেখেছিল কীভাবে শান্তিপূর্ণ একটি কর্মসূচিকে রাতের আঁধারে ক্র্যাকডাউনের মাধ্যমে পণ্ড করে দেওয়া হয়েছিল। সেদিন অনেক প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ওপরও ফ্যাসিস্ট হাসিনার কালো থাবা পড়েছিলো। ইতিহাসের জঘন্য এই গণহত্যা সরাসরি সম্প্রচার করায় সেদিনই অনেক গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণ করা হয়েছিল।আমরা চাই ২০২৪ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ হবে ন্যায়বিচারের বাংলাদেশ।
আমরা অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে এই গণহত্যার বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতি দৃশ্যমান করার দাবী জানাই। দ্রুত গণহত্যাকারী দল আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিস্ট হাসিনাসহ জড়িত সকল অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত হবে বলে আমরা আশা রাখি। চব্বিশের জুলাই বিপ্লবে ইসলামী ছাত্রশিবির যেভাবে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলো, শাপলা গণহত্যার বিচার আদায়ের দাবিতেও একইভাবে ছাত্রশিবির ভূমিকা রেখে যাবে ইনশাআল্লাহ।
চট্টগ্রাম মহানগর উত্তর ছাত্রশিবিরের সভাপতি তানজির হোসাইন জুয়েল বলেন, ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে সেদিন এদেশের ইসলামপ্রিয় জনতা নিজেদের ব্যক্তিগত বা রাজনৈতিক কোন স্বার্থ হাসিলের জন্য নয়, বরং নবীর ওপর নাস্তিক ব্লগাররা যে অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলো তার বিচারের দাবিতে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা জনমানুষের সে দাবিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাতের আঁধারে ক্র্যাকডাউনের নামে ইতিহাসের বর্বর গণহত্যা সংঘটিত করে। শুধু তাই নয়, রাষ্ট্রীয় চাপে সেদিন অগণিত শহিদের পরিবারকে তাদের স্বজনের খোঁজে থানায় গিয়ে জিডি পর্যন্ত চাইতে দেওয়া হয়নি। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকারকে গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে অবশ্যই নিষিদ্ধ করতে হবে। শাপলা গণহত্যাসহ অন্যান্য যত গণহত্যা এ দেশের মাটিতে আওয়ামী লীগ সংঘটিত করেছিলো তার দ্রুত বিচার বাস্তবায়ন করতে হবে।