মালয়েশিয়ায় জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে দুই বাংলাদেশিসহ ৪৬ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির ইমিগ্রেশন পুলিশ।
বিদেশিদের দ্বারা পরিচালিত অনলাইনে জালিয়াতি ও প্রতারণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন তারা।মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগ (জেআইএম) কুয়ালালামপুরের কুচাই লামার ১৭টি বিলাসবহুল আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিদেশি পরিচালিত অনলাইনভিত্তিক প্রতারণা চক্রের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে।
জেআইএম-এর উপমহাপরিচালক (অপারেশনস) জাফরি এমবক তাহা জানান, অভিযানে চীন ও ইন্দোনেশিয়া ১৫ জন করে পুরুষ, ইন্দোনেশিয়ার ৪ নারী, মিয়ানমারের একজন, বাংলাদেশের দুই জন পুরুষ রয়েছেন। এছাড়া লাওস এবং থাইল্যান্ডের নাগরিকও রয়েছেন, যাদের বয়স ২৩ থেকে ৫৪ বছরের মধ্যে। খবর নিউ স্ট্রেইটস টাইমসের।
তিন সপ্তাহের গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত এই অভিযানে দেখা গেছে, একটি সিন্ডিকেট কল সেন্টার হিসেবে ব্যবহারের জন্য স্থানটি ভাড়া নিয়েছিল। এই কল সেন্টারের মাধ্যমে ভুক্তভোগীদের স্বর্ণ, সম্পত্তি, বিলাসবহুল জাহাজ, স্টক বিনিয়োগ এবং বিদেশি মুদ্রা কেনার প্রস্তাব দিয়ে প্রতারণা করা হতো। তারা স্থানীয়দের পাশাপাশি বিদেশি, বিশেষ করে নিজেদের দেশের নাগরিকদেরও লক্ষ্যবস্তু করত।
জাফরি আরও জানান, সিন্ডিকেটটি প্রায় তিন মাস ধরে ফেসবুক, টিকটক, উইচ্যাট, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম এবং অন্যান্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ভুক্তভোগীদের খুঁজে বের করত। প্রতিদিন তারা আনুমানিক ১ লাখ থেকে দেড় লাখ রিঙ্গিত হাতিয়ে নিতো, যেখানে চক্রের সদস্যরা মাসিক প্রায় ২,৫০০ থেকে ৩,৫০০ রিঙ্গিত বেতন পেত। অভিযানের সময় দুটি সার্ভার , চারটি ল্যাপটপ, ৮৮টি মোবাইল ফোন, তিনটি রাউটার, চারটি মডেম, ২৬টি সিম কার্ড এবং নগদ ১ লাখ রিঙ্গিতসহ বেশ কিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।