ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ

একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১.২৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট : শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১.২৫ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1008566 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1008566 জন
একুশের প্রথম প্রহরে ভাষা শহীদদের প্রতি রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

অমর একুশে ‘মহান শহীদ দিবস’ এবং ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ উপলক্ষে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

২১ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, রাত ১২টা ১ মিনিটে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন এবং দাঁড়িয়ে ভাষা শহীদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।

তিনি রাত ১১টা ৫৯ মিনিটে শহীদ মিনারে পৌঁছান। এ সময় তাকে স্বাগত জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান, একুশে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং সদস্যসচিব সাইফুদ্দীন আহমেদ।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাত ১২টা ১০ মিনিটে শহীদ মিনারে আসেন এবং তাকে অভ্যর্থনা জানান উপাচার্য, একুশে উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং সদস্যসচিব সাইফুদ্দীন আহমেদ।

ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাত ১২টা ১৩ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা রাত ১২টা ১৬ মিনিটে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাও শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন।

একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শহীদ মিনার এলাকা ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয়। দিবসটি উপলক্ষে শহীদ মিনার এলাকার দেয়াল ও রাস্তাকে রংতুলির আঁচড়ে আলপনায় সাজিয়েছেন চারুকলার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে এটি আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের জন্য একুশে ফেব্রুয়ারি একটি শোক ও বেদনার দিন হলেও, এটি বাংলা ভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য শহীদদের আত্মত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত এক বিশেষ দিন।

উল্লেখ্য, ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি, ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে পূর্ববাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র, যুবক এবং সাধারণ মানুষ প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে রাজপথে নেমে আসেন। পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ছাত্র-জনতার মিছিল দেখে আতঙ্কিত হয়ে গুলি চালায়, -এতে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক শহীদ হন। সেই থেকে ভাষা আন্দোলনের বিশেষ এই দিনটিকে ‘মহান শহীদ দিবস’ হিসাবে  বাঙালীরা পালন করে আসছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/এনকেডি

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

ডেস্ক রিপোর্ট | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১.২৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১.২৫ পূর্বাহ্ন