প্রবাসীদের পাঠানো টাকায় যেখানে দেশের অর্থনৈতিক ভিত শক্ত হয়, সেখানে মেডিকেল টেস্টের নামে পদে পদে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বিদেশগামী শ্রমিকরা। প্রবাসী শ্রমিকদের ভিসা চূড়ান্ত হলেই মেডিকেল টেস্টের প্রয়োজন হয়। আর এই স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়েই নানা জটিলতায় পড়েন প্রবাসীরা। সম্প্রতি সরেজমিনে ঘুরে এমনই অবস্থা দেখা যায় কাতার ভিসা কার্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে। ভুক্তভোগীদের দাবি, টেস্টের ফাঁদে ফেলে বারবার তাদের হয়রানি করা হয়। ৩ মাস মেয়াদের ভিসায় মেডিকেল টেস্ট করতেই শেষ হয়ে যায় সময়সীমা। কেউ কেউ দুই মাসে ১০ থেকে ১২ বারের বেশিও এসেছেন।
কারও কারও রিপোর্টে সমস্যা আছে বলা হলেও বাইরে মেডিকেল টেস্ট করে তেমন কিছু মেলেনি বলে দাবি অনেকের। এ বিষয়ে কাতার ভিসা সেন্টারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পর পর দুদিন কথা বলতে গেলেও তারা বক্তব্য দিতে অস্বীকৃতি জানান। কাতার ভিসা সেন্টার ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ভিসা সেন্টার ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। বেশির ভাগ সেন্টারেই নেই মানুষ। কোনোটায় ঝুলানো তালা। সেবাপ্রত্যাশী গেলেই খোলা হয় তালা। অভিযোগ আছে, মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের ভিসা নিশ্চিত না হলেও মেডিকেল টেস্টের নামে প্রতিদিন কোটি টাকার বেশি হাতিয়ে নিচ্ছে অসাধু বেশ কিছু এজেন্সি। অভিযোগের বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়েরও দায়সারা ভাব। মন্ত্রণালয়ের মনিটরিং ও এনফোর্সমেন্ট অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সাজ্জাদ হোসেন ভূঞার সঙ্গে কথা বলতে গেলে তিনি ক্যামেরার সামনে কথা বলবেন না বলে জানান।বক্তব্য দিতে নারাজ সচিবও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অভিবাসী ও মেডিকেল টেস্ট নিয়ে চলছে সিন্ডিকেট। তাই সরকারের উচিত যথাযথ আইনের ব্যাবহার করে পর্যবেক্ষণ ও অভিযান পরিচালনা করা। এ বিষয়ে ওয়্যারবি ডেভলপমেন্ট ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ সাইফুল হক বলেন, এক মাসেরও কম সময়ের মধ্যে অন্যান্য দেশের ভিসা প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও বাংলাদেশে মেডিকেলসহ ভিসা প্রক্রিয়ায় পদে পদে ভোগান্তির কারণে সঠিক সময়ে যেতে পারছেন না অনেক।