ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

শ্রমিক অসন্তোষ থাকলেও পোশাক খাতে বেড়েছে রপ্তানি

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার :
নিউজটি দেখেছেনঃ 1509528 জন
  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1509528 জন
শ্রমিক অসন্তোষ থাকলেও পোশাক খাতে বেড়েছে রপ্তানি
ছবি : সংগৃহীত

অর্ন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর শ্রমিক অসন্তোষ থাকলেও চলতি অক্টোবর মাসে পোশাক খাতে রপ্তানি বেড়েছে। পোশাক খাতে রপ্তানি গত বছরের তুলনায় এবার অক্টোবরে ৬০০ মিলিয়ন এবং গত চার মাসে (জুলাই থেকে অক্টোবর) এক দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বেড়েছে।


রোববার (১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) প্রশাসক আনোয়ার হোসেন এ তথ্য জানান। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। শ্রম অসন্তোষের ফলে রপ্তানিতে কোনো প্রভাব পড়েছে কিনা- জানতে চাইলে আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা প্রতি মাসে রপ্তানির ডাটা দিয়ে থাকি, আজকে একটা আপডেট দেওয়া হচ্ছে। আমাদের ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে রপ্তানি হয়েছিল ২ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৪ সালের অক্টোবরে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার। এর মানে আমাদের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় প্রায় ৬০০ মিলিয়ন ডলারের মতো বেড়েছে। আমাদের ২৩ শতাংশ গ্রোথ (প্রবৃদ্ধি) হয়েছে।


তিনি বলেন, গত বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ১১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার। আর ২০২৪ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত রপ্তানি হয়েছে ১২ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসেবে আমাদের ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বেশি রপ্তানি হয়েছে।


তিনি বলেন, আমাদের ২ হাজার ১৪০ টি কারখানার মধ্যে ২ হাজার ১৩০টি কারখানা চালু রয়েছে। বাকিগুলো কোনটিই একেবারে বন্ধ হয়নি। দুই একটা কারখানা দুই একদিন বন্ধ থাকে আবার চালু হয়। শুধু টিএনজেড ও নেক্সাসসহ চারটি কারখানা বন্ধ। আর বাকিগুলো সব চালু আছে। আগে তো এর থেকে বেশি বন্ধ থাকতো। উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেন, আমরা ডাটার বিষয়ে খুবই প্রমিসড। আগের মতো কারচুপি করে ডাটা দেখানো হবে না। আমাদের ভুয়া উন্নয়নের দরকার নেই। আমরা ফ্যাক্টে যাবো, আমরা কি অবস্থায় আছি, এটাই আমরা আপনাদেরকে দেখাবো। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীনে যে পরিসংখ্যান বিভাগ রয়েছে তাদেরকেও প্রধান উপদেষ্টা এভাবেই নির্দেশনা দিয়েছেন- যেটা ফ্যাক্ট সেটাই। বাড়িয়ে উন্নয়ন দেখিয়ে অলীক স্বপ্নের মধ্যে রাখার কোনো মানে হয় না। আমরা যখন বাস্তবে আসছি, বাস্তবতার কথাগুলোই বলতে হবে, আমরা কোন পর্যায়ে আছি। বাংলাদেশ নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির কার্যকরী সভাপতি মো. হাতেম আলী বলেন, ব্যাংক থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। আমাদের চেক ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ব্যাংক। আমাদের ব্যাংকে টাকা আছে। কিন্তু ১০-১২টি ব্যাংক থেকে আমরা সম্পূর্ণ সহযোগিতা পাচ্ছি। আমাদের চেকগুলো ফেরত দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা চাই। হাতেম আলী আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সেনাবাহিনী এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। হাতেগোনা কয়েকটি কারখানায় কিছু বেতনের ইস্যু ছাড়া আর কোনো বিষয় নেই।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার :

আপডেট :