বিশেষ প্রতিবেদক: বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ, বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের পার্শ্ববর্তী এলাকায় একের পর এক রিসোর্ট এবং কটেজ গড়ে উঠছে, যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি। খুলনার দাকোপ উপজেলায় ৩৫টি রিসোর্ট গড়ে তোলা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি নির্মাণাধীন। এসব রিসোর্টে গাছ কেটে এবং খাল ভরাট করে স্থাপন করা হয়েছে, যার ফলে প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
রিসোর্টের প্রভাব:
সুন্দরবনের আশেপাশের অঞ্চলে গড়ে ওঠা এসব রিসোর্টে পর্যটকরা আসছেন, কিন্তু এর ফলে বনভূমির ওপর চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতিথিরা বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য, যেমন চিপসের প্যাকেট ও প্লাস্টিকের বোতল, ফেলে পরিবেশ দূষণ করছেন। এই রিসোর্টগুলোতে উচ্চস্বরে সাউন্ড সিস্টেম এবং জেনারেটর ব্যবহার করা হচ্ছে, যা বনের প্রাণীদের জীবনকে বিপন্ন করছে।
আইন লঙ্ঘন:
সুন্দরবনের চারপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকা প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা (ইসিএ) হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এখানে কোনো ধরনের স্থাপনা নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদফতরের অনুমতি নিতে হয়, কিন্তু এসব রিসোর্টের কোনো পরিবেশগত ছাড়পত্র নেই।
বৃক্ষহানির অভিযোগ:
স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এসব রিসোর্টের জন্য অনেক বড় গাছ কাটা হয়েছে এবং প্রাকৃতিক জলাভূমি নষ্ট করা হয়েছে। বিভিন্ন রিসোর্টে কংক্রিট ও টাইলসের ব্যবহার পরিবেশের জন্য আরও বিপজ্জনক।
উপসংহার:
পরিবেশবিদরা সতর্ক করেছেন যে, যদি এই ধরণের কার্যক্রম বন্ধ না করা হয়, তাহলে সুন্দরবন এবং এর জীববৈচিত্র্যের জন্য পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। দ্রুত কার্যকর নীতিমালা তৈরি করা প্রয়োজন, যাতে এই এলাকা বাঁচানো সম্ভব হয় এবং প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষিত থাকে।