বাংলাদেশে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষের জন্য পাঠ্যবই ছাপানোর কাজ দ্রুতগতিতে চলছে, তবে সময়সীমা সংকুচিত হওয়ায় চ্যালেঞ্জ বেড়ে গেছে। এনসিটিবি (জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড) জানিয়েছে, এবার মোট ৩৭ কোটি ৬৪ লাখ বই ছাপাতে হবে, যা গত বছরের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।
কার্যক্রমের অবস্থা
জুলাই-আগস্ট থেকে শুরু হওয়া কার্যক্রম, অক্টোবরের মাঝামাঝি সময়েও সঠিকভাবে এগোচ্ছে না। প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণির বইয়ের কার্যাদেশ এই সপ্তাহেই দেওয়ার কথা রয়েছে, তবে মাধ্যমিকের বইয়ের দরপত্র এখনও আহ্বান করা হয়নি। মুদ্রকরা বলছেন, একসঙ্গে কাজ দেওয়া হলে সময়ের চাপ বেড়ে যাবে, যা বইয়ের মানের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে।
মুদ্রকের চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সিনিয়র সহসভাপতি জুনায়েদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেছেন, '৫ মাসে যে কাজ শেষ করি, তা ৪৫ দিনে করা কিভাবে সম্ভব?' কাগজের মূল্য বৃদ্ধি এবং সময়ের অভাবে কাজটি সম্পন্ন করা কঠিন হবে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।
বইয়ের সংখ্যা ও শ্রেণি
২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রাথমিক স্তরের জন্য ৯ কোটি ২১ লাখ এবং মাধ্যমিক স্তরের জন্য ২৮ কোটি বই ছাপানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির বইয়ের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনগুলোও দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করতে হবে।
এনসিটিবির আশ্বাস
এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এ. কে. এম রিয়াজুল হাসান বলেন, 'আমরা দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করছি এবং আশা করছি, ডিসেম্বরের মধ্যে সব বইয়ের কাজ শেষ হবে।' তবে মুদ্রকদের অভিজ্ঞতার অভাব ও সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে ওঠা কঠিন হবে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
শিক্ষার্থীদের পরিস্থিতি
এনসিটিবির পাঠ্য বই এখনও শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছায়নি, যা প্রায় ১৪ লাখ শিক্ষার্থীর পড়ালেখায় ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে।
উপসংহার
বর্তমান পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে দ্রুত ও সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। সকল পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আগামী শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইগুলোর কাজ শেষ করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।