সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের ঘোষণা না আসা পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চালিয়ে নেওয়া ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিক্ষার্থীরা জানান, দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। দুপুরে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী জাহাঙ্গীর সানিও একই কথা জানিয়েছিলেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব পদমর্যাদার) এসে অনশন বন্ধের আহ্বান জানিয়েছিলেন। শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি ‘সরকার বিবেচনা করবে’ বলেও জানান তিনি। কিন্তু শিক্ষার্থীরা বলছেন, স্পষ্ট ঘোষণা না আসা পর্যন্ত আন্দোলন, অনশন কর্মসূচি চলবে।
সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিকাল ৫টা থেকে অনশন শুরু করেন আন্দোলনকারী ৭ শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে তিন জন এরইমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। পরে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) আন্দোলনকারীরা সড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভও করেন।
আজ শুক্রবার আগের অনশনকারীদের সঙ্গে আরও আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী যোগ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর সানি। তিনি বলেন, এখন ১০ জনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন।
‘তিতুমীর ঐক্য’-এর সাত দফা
১. ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’-এর রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে।
২. ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রশাসন গঠন করে ২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।
৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন।
৪. ২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয়; ‘আইন’ এবং ‘সাংবাদিকতা’ সংযোজন করতে হবে।
৫. অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।
৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত রাখতে হবে
৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে।