'রাজধানী ঢাকা' বায়ুদূষণে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান বিষয় ওয়েবসাইট আইকিউএয়ার-এ এসব তথ্য পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা যায়, বাতাসের মান সূচকে ঢাকার বায়ুর স্কোর ২৫২। যা ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে বিবেচিত। বিশ্বের ১২৪ নগরীর মধ্যে আজ ২৫৫ স্কোর নিয়ে প্রথম অবস্থানে আছে মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটোর।
দেশের অন্যান্য বিভাগীয় শহরের মধ্যে চট্টগ্রামের বায়ুর মান ৯৮, রাজশাহীতে ১৮৪ আর খুলনায় ১৭৫। ঢাকা ও আশপাশের তিন সর্বোচ্চ দূষিত এলাকার মধ্যে আছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস (৫৯৯) গোড়ান (৪৯৫), কল্যাণপুর (৩০৮)।
আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, স্কোর ৫১ থেকে ১০০ হলে তাকে মাঝারি বা গ্রহণযোগ্য মানের বায়ু হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোরকে সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর ধরা হয়। সংবেদনশীল গোষ্ঠীর মধ্যে আছেন বয়স্ক, শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা অস্বাস্থ্যকর বাতাস। স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে তাকে খুবই অস্বাস্থ্যকর বায়ু ধরা হয়। ৩০১ থেকে তার ওপরের স্কোরকে দুর্যোগপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ ধরা হয়।
দীর্ঘদিন ধরে বায়ু দূষণে ভুগছে ঢাকা। এর বাতাসের গুণমান সাধারণত শীতকালে অস্বাস্থ্যকর হয়ে যায় এবং বর্ষাকালে কিছুটা উন্নত হয়।
বায়ুদূষণ বন্ধে সাত দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপের নির্দেশ হাইকোর্টের:
ঢাকার বায়ুদূষণ সমস্যা সমাধানে সাত দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে রবিবার (১২ জানুয়ারি) সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন এবং ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
২০১৯ সালে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দাখিল করে, যার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত নয় দফা নির্দেশনা জারি করে। এর মধ্যে রয়েছে: ঢাকার রাস্তায় পানি ছিটানো, নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা, কালো ধোঁয়া নিঃসরণকারী গাড়ি জব্দ করা, অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করা এবং টায়ার ফ্যাক্টরি বন্ধ করার মতো পদক্ষেপ।
অথচ, এসব নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়ায় ঢাকা আবারও বায়ুদূষণের শীর্ষে পৌঁছেছে। আদালত কর্তৃপক্ষের কার্যকর পদক্ষেপে অবহেলা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।