জনস্বার্থ উপেক্ষা করে হয়রানিমূলক প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের প্রতিবাদে এবং তা বন্ধের দাবিতে গতকাল, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার সকাল ১১টায় রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটির উদ্যোগে নেসকো ভবনের সামনে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব ও সাবেক ছাত্রনেতা এডভোকেট পলাশ কান্তি নাগ-এর সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আমিন উদ্দিন বিএসসি, এবিএম মসিউর রহমান, নুরে আজম দীপু, মেহেদী হাসান তরু, রেদোয়ান ফেরদৌস, এডভোকেট নরেশ চন্দ্র সরকার, সমাজকর্মী স্বপন চন্দ্র রায়, কবি ও লেখক আহমেদ মওদুদ, শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের সংগঠক সবুজ রায়, নিপীড়নবিরোধী নারীমঞ্চের সংগঠক সুলতানা আক্তার, সংবাদ ও মানবাধিকার কর্মী বেলায়েত হোসেন বাবু এবং রংপুর কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক মোঃ আমিরুল ইসলাম রাজু।
বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন: নেসকো কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ গ্রাহকদের মতামতকে উপেক্ষা করে স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যমে প্রি-পেইড মিটার স্থাপন চালিয়ে যাচ্ছে। এই পদ্ধতিতে গ্রাহকদের আগাম অর্থ প্রদান করে বিদ্যুৎ কিনতে হবে, যা সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের মূল ধারণার সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ। প্রি-পেইড মিটার স্থাপন গ্রাহকদের জন্য নতুন হয়রানি ও দুর্ভোগ তৈরি করবে।
তারা অভিযোগ করেন, বর্তমান সরকার ফ্যাসিবাদী কায়দায় বিদ্যুৎ খাতে দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধি করেছে এবং রেন্টাল-কুইক রেন্টালের নামে হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছে। এর খেসারত দিতে হচ্ছে সাধারণ জনগণকে। বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ সেবাকে আরও উন্নত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রের। অথচ গণশুনানি ছাড়া নেসকো একতরফা পদক্ষেপ নিয়ে জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।
ডিমান্ড চার্জ ও সার্ভিস চার্জের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়েও বক্তারা কড়া প্রতিবাদ জানান। তারা বিদ্যুৎ খাতের অনিয়ম ও দুর্নীতি বন্ধ করে জনগণের জন্য নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সেবা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
বক্তারা হুঁশিয়ারি দেন: অবিলম্বে এই গণবিরোধী প্রি-পেইড মিটার স্থাপন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। অন্যথায় বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
সমাবেশ শেষে রংপুর মহানগর নাগরিক কমিটি আরও সংগঠিত হয়ে এই ইস্যুতে ধারাবাহিক কর্মসূচি ঘোষণার আশ্বাস দেয়।