ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

বিকল্প পর্যটনে ঝুঁকছেন বাংলাদেশি ভ্রমণ পিপাসুরা

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

বিশেষ প্রতিবেদক | লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১.০৪ পূর্বাহ্ন

আপডেট : রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১.০৪ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1229913 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1229913 জন
বিকল্প পর্যটনে ঝুঁকছেন বাংলাদেশি ভ্রমণ পিপাসুরা
ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘদিন ধরে ভারতের ভিসা সেবা সীমিত থাকায় ভ্রমণ পিপাসা মেটাতে বিকল্প পর্যটন স্পটের দিকে ঝুঁকছেন বাংলাদেশিরা। এক্ষেত্রে তাদের পছন্দের গন্তব্য হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছে চীন, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড ও মালদ্বীপের মতো পূর্ব এশিয়ার দেশগুলো।



সহজ ভ্রমণ ও সুলভ চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশি পর্যটকদের পছন্দের তালিকায় বরাবরই শীর্ষে ছিল ভারত। তবে, জুলাই বিপ্লবের পর থেকে সাধারণ ভিসা বন্ধ রেখেছে দেশটি। এমন প্রেক্ষাপটে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নতুন গন্তব্যের দিকে ঝুঁকেছেন ভ্রমণকারীরা। তাদের অভিমত, ভারতে যেতেই হবে, এমন তো না। বাংলাদেশেও তো ঘোরার মতো অনেক জায়গা আছে। তাছাড়া বিদেশে যেতে চাইলে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে যাওয়া যায়।



সাধারণত, বছরের শেষ ও শুরুর দিকে চার থেকে পাঁচ মাস, দেশ থেকে দেশান্তরে ঘুরে বেড়ান বাংলাদেশের ভ্রমণ পিপাসুরা। এজন্য সিলেট, কক্সবাজারসহ বিভিন্ন রুট ও বিদেশের ফ্লাইটগুলোতে যাত্রীদের বাড়তি চাপ থাকে বিমানবন্দরে। তবে, জুলাই বিপ্লবে শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতাচ্যুতির পর থেকে ভারতের ভিসা প্রাপ্তি নিয়ে জটিলতা তৈরি হওয়ায় বাংলাদেশি পর্যটকদের নিয়মিত উৎসাহে ভাটা পড়ে। এ ছাড়া সংখ্যালঘু ইস্যুসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে দিল্লি-ঢাকার টানাপোড়েনের প্রভাব পড়েছে দুদেশেরই জনসাধারণের মনে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ভারত ভ্রমণকে নিরাপদও মনে করছেন না বাংলাদেশি অনেক পর্যটক।



ফলে চলতি মৗসুমে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, চীন, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কাসহ বেশ কয়েকটি দেশে বেড়েছে বাংলাদেশি পর্যটকদের আনাগোনা। এমনই তথ্য দিয়েছে ট্রাভেল ও ট্যুর এজেন্সিদের সংগঠন আটাব।


আটাব সভাপতি আবদুস সালাম আরেফ বলেন, বাংলাদেশি ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য নতুন ভ্রমণ গন্তব্য হিসেবে শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপ ভালো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এর পাশাপাশি চীনের বিভিন্ন জায়গা যেমন গুয়াংজু, কুনমিং এবং বেইজিংয়েও বেড়েছে বাংলাশিদের ভ্রমণ।



ভারত সাধারণ ভিসা বন্ধ রাখায় পর্যটকরা বিকল্প গন্তব্য খুঁজছে বলে মত এয়ারলাইন্সগুলোরও। ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, বছরের এ সময়টি এমনিতেই পর্যটক মৌসুম। তাছাড়া জুলাই-আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সবার মাঝে ঘুরার একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে। সেই জায়গা থেকে অনেকে ব্যাংকক অথবা কাঠমান্ডু যাচ্ছেন। ট্যুরিস্টদের যাতায়াত বন্ধ হয়নি। যেহেতু ভারতে যাওয়া যাচ্ছে না, তাই ভিন্ন ভিন্ন বিকল্প তৈরি হচ্ছে।



গত সেপ্টেম্বরে ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ভারত ভ্রমণ করেছেন প্রায় ৪৭ লাখ ৮০ হাজার পর্যটক। এদের মধ্যে ২১ দশমিক ৫৫ শতাংশই ছিল বাংলাদেশি।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

বিশেষ প্রতিবেদক | লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১.০৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১.০৪ পূর্বাহ্ন