ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

সংবর্ধিত হলেন চট্টগ্রামের ৪০৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা-শহিদ পরিবারের সদস্যরা

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০.৩৭ অপরাহ্ন

আপডেট : মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০.৩৭ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1260997 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1260997 জন
সংবর্ধিত হলেন চট্টগ্রামের ৪০৫ জন  বীর মুক্তিযোদ্ধা-শহিদ পরিবারের সদস্যরা
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করছেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দীন। ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ জিয়াউদ্দিন বলেছেন, ১৯৭১ এবং ২০২৪ সালে বাঙালি জাতি মুক্তির জন্য যে সংগ্রাম করেছিল তার ইতিহাসকে সংরক্ষণ করতে হবে। জাতিকে বৈষম্য, শোষণ ও নিপীড়ন থেকে মুক্ত করতে এবং আগামীতে আবার যেন ২০২৪ এর মত কোন অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রক্তপাত করতে না হয়, সেজন্য ইতিহাসকে রক্ষা করা প্রয়োজন। আগামী প্রজন্ম অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় নগরীর শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের বিজয় দিবসে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগরের ৪০৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মাননা ক্রেস্ট দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।


চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও চান্দগাঁও সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইউছুফ হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ ও পুলিশ সুপার রায়হান উদ্দিন খান। আলোচক ছিলেন বীর মু্িক্তযোদ্ধা কামাল উদ্দিন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা একরামুল করিম। বীর মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীসহ অসংখ্য সাধারণ মানুষ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।


অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বিভাগীয় কমিশনার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা কি কারণে যুদ্ধে গিেেয়ছিলেন, যুদ্ধে যাওয়ার প্রেরণা কে যুগিয়েছিল এবং যুদ্ধ শেষে অর্জিত বাংলাদেশে আপনারা কি ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছেন তা দু’কলম হলেও লিখে আমাদের জানান। আপনাদের এ লিখা আমাদের তথা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে অনুপ্রেরণার বাণী হয়ে থাকবে এবং সঠিক পদক্ষেপ নেয়ার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথিবৃন্দ বলেন, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল বৈষম্যহীন সমাজ ব্যবস্থা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার জন্য রাষ্ট্র সমান থাকবে কিন্তু রাষ্ট্রে বৈষম্য সৃষ্টি হওয়ার কারণেই মুক্তিযুদ্ধ যেমন হয়েছিল ঠিক তেমনি, ২০২৪ এ জুলাই অভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছিল। ছাত্র-জনতার জুলাই বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দেশে নতুন করে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০.৩৭ অপরাহ্ন
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০.৩৭ অপরাহ্ন