সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) অধীনে কয়েকটি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠলেও তদন্তে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই কোনো নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের সুপারিশ করা হয়নি।
তদন্ত শেষে পিএসসির গঠিত কমিটি যে প্রতিবেদন তৈরি করেছে, তাতে সুনির্দিষ্ট কোনো পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ না পাওয়ার কথা উল্লেখ করেছে। পিএসসির একাধিক সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
বিষয়টি পিএসসির সর্বশেষ সভায় প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে জানিয়ে কমিশনের একজন সদস্য জানান, তদন্ত কমিটি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ খতিয়ে দেখেছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, পরীক্ষক, কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছে। কোনো পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদন খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
জানা যায়, পিএসসির অধীনে অনুষ্ঠিত বিসিএস প্রিলিমিনারি, লিখিতসহ গত ১২ বছরে গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করেছে কয়েকটি চক্র বলে সংবাদ প্রচার করে দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে সাংবিধানিক এ প্রতিষ্ঠানটি। একই সময়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষাগুলো বাতিলের দাবিও তোলেন অনেকে।
প্রচারিত সংবাদের প্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে পিএসসি। কমিটির আহ্বায়ক কমিশনের যুগ্ম সচিব আবদুল আলীম খান। এতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন পিএসসির পরিচালক দিলাওয়েজ দুরদানা। সদস্যসচিব পিএসসির পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল হক। কমিটি তাদের তদন্তের কাজ শেষ করেছে।