ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

পাহাড় রক্ষায় নতুন মিশন

একযোগে কাজ করবে চসিক-সিডিএ
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1862758 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1862758 জন
পাহাড় রক্ষায় নতুন মিশন
ছবি : সংগৃহীত

এবার নগরের পাহাড় রক্ষায় নয়া মিশন নিয়ে নেমেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) ও চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। কার্যকর পদক্ষেপ নেবে সংস্থা দুটি। অভিযোগ আছে, সরকারের দায়িত্বশীল সংস্থা পরিবেশ অধিফতর পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে নিয়মিত কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটির দৃশ্যমান ভূমিকা দেখা যায় না। বরং পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে নামমাত্র জরিমানা ও মামলা করেই দায় সারে। ফলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে পাহাড়খেকোরা। 


জানা যায়, নগরের পাহাড় রক্ষায় চসিক ও সিডিএ একসঙ্গে কাজ করবে। বর্তমানে কোন কোন এলাকায় পাহাড় কাটা হচ্ছে, কারা পাহাড় কাটায় জড়িত এবং বিদ্যমান পাহাড়গুলোর অবস্থা কেমন- এসব বিষয় নিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে চসিক ও সিডিএ। এরপর বিষয়টা নিয়ে সরাসরি পরিবেশ অধিদফতরে চিঠি দেওয়া হবে। পরিবেশ অধিদফতর প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ না নিলে বিষয়টা নিয়ে চসিক মেয়র এবং সিডিএ চেয়ারম্যান সরাসরি পরিবেশ মন্ত্রীকে জানাবেন। তাছাড়া, গত ২৮ মে অনুষ্ঠিত চসিকের সাধারণ সভায়ও মেয়র নগরে নির্বিচারে পাহাড় কাটার বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। চসিক মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নগরের পাহাড়গুলো কাটা হচ্ছে নির্বিচারে। প্রজন্মের স্বার্থে পাহাড় রক্ষা করতেই হবে। গত সাধারণ সভায় বিষয়টা নিয়ে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পাহাড় বাঁচাতে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব। সিডিএও আমাদের সঙ্গে ঐকমত্য পোষণ করেছে।    


সিডিএ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, আমাদের চোখের সামনেই ধ্বংস করা হচ্ছে নগরের পাহাড়গুলো। বিষয়টা বিস্ময়কর। অথচ বেঁচে থাকার স্বার্থে পাহাড়গুলো রক্ষা অতিপ্রয়োজন। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পাহাড় কেটে কোনো স্থাপনার অনুমোদন দেওয়া হবে না। নগরের পাহাড়গুলো সরেজিমন পরিদর্শন করব। এ কাজে চসিকও আমাদের সঙ্গে থাকবে।


বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আলিউর রহমান বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোর কার্যকর উদ্যোগের অভাবেই বেপরোয়া পাহাড়খেকোরা। না হয় সরকারি সংস্থা সক্রিয় থাকলে কেউ পাহাড়ে হাতও দিতে পারবে না। তাই পাহাড় কাটা বন্ধে পরিবেশ অধিদফতর, জেলা প্রশাসন, বন বিভাগ এবং সিডিএকে অধিক মাত্রায় সতর্ক থাকতে হবে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চট্টগ্রাম নগরে নিয়মিতই কাটা হয় পাহাড়। ফলে প্রতিনিয়তই পাহাড়শূন্য হতে চলেছে কিছু এলাকা। এখানে নির্মিত হচ্ছে আবাসন প্রতিষ্ঠানের বহুতল ভবন এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠান। নগরের ষোলশহর, ফয়েস লেক, আকবর শাহ, আকবর শাহ লেক সিটি আবাসিক, আকবর শাহ ঝিল এলাকা, বায়েজিদ বোস্তামী থানাধীন কৃষ্ণছায়া আবাসিক, ওয়্যারলেস কলোনির পাহাড়, জালালাবাদ হাউজিং, গ্রিনভ্যালি হাউজিং, বায়েজিদ শেরশাহ, চন্দ্রনগর, লালখান বাজার, মতিঝরনা, পাহাড়তলী, পলিটেকনিক, কুসুমবাগ, কাইচ্যাঘোনা, উত্তর পাহাড়তলীর বিশ্ব কলোনি, মক্কীঘোনা, বাটালি হিল, প্রবর্তক পাহাড়, জয়পাহাড়, রেলওয়ে এমপ্লøয়িজ গার্লস স্কুল এলাকা, আমবাগান ও আরেফিন নগর এলাকায় বেশি পাহাড় কাটা হয়।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ