ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

উপাচার্য মিটিংয়ে, সাক্ষাৎ না পেয়ে ফটকে তালা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1865975 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1865975 জন
উপাচার্য মিটিংয়ে, সাক্ষাৎ না পেয়ে ফটকে তালা
ছবি : সংগৃহীত

ঈদ-উল-আজহা ও গ্রীষ্মকালীন ছুটি উপলক্ষে ১০ জুন থেকে ১৪ দিনের ছুটিতে যাচ্ছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।এ সময় আবাসিক হলগুলো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। ছুটিতে হল খোলা রাখার দাবি নিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে সুযোগ না পাওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক অবরোধ করেন। সোমবার (৩ জুন) বেলা ২টায় এ ঘটনা ঘটে।


শিক্ষার্থীরা ফটক আটকে দিলে দুপুর ২টার শিফটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বহনকারী বাসগুলো ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে আটকা পড়ে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহগামী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর আড়াইটার দিকে প্রক্টরিয়াল বডির আশ্বাসে ফটক খুলে দেয় দেওয়া হয়। পরবর্তীতে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল প্রক্টরিয়াল বডির মধ্যস্থতায় উপাচার্যের বাসভবনে গিয়ে দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দেয়।


ফটক অবরোধকারীদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি শেখ সাকলাইনসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করেন। এর আগে বেলা ১১টায় একই দাবিতে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি দেয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক ও সাংস্কৃতি সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্ম ‘ঐক্যমঞ্চ’।


ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি শেখ সাকলাইন বলেন, ‘আমরা সাড়ে ১১টার দিকে ভিসি স্যারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার জন্য গিয়েছিলাম। তার পিএসকে আমরা বারবার বললেও সাক্ষাতের কোনো সুযোগ করে দেয়নি। বলেননি কেন সাক্ষাৎ করা যাচ্ছে না। দুইটায় খেলা ছিল, তবুও দেখা হচ্ছিল না এজন্য সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে গেট আটকায়। পরে ৩টার দিকে আমরা ভিসি স্যারের কাছে গিয়ে স্মারকলিপি দিয়েছি।


উপাচার্যের একান্ত সচিব মনিরুজ্জামান মিল্টন বলেন, ‘আমার কাজই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভিসির সঙ্গে সাক্ষাত করিয়ে দেওয়া। শিক্ষার্থীরা ১২টার পর এসেছিল। ওইসময় আইনশৃঙ্খলা বাহীনির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ একটি মিটিং চলছিল, এমন অবস্থায় তো ভেতরে যাওয়া যায় না। তাদের বারবার বিষয়টি বুঝিয়ে বলা হয়েছে। কিন্তু তারা মিটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেনি।’


প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ বলেন, একদল শিক্ষার্থী ভিসি স্যারের সঙ্গে দেখা করার জন্য এসেছিল। কিন্তু সেসময় উপাচার্যের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহীনি ও গোয়েন্দা সংগঠনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছিল। ফলে সেসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ ছিল না। শিক্ষার্থীরা অপেক্ষা না করে তারা গেটে আটকে দিয়েছে। এতে ক্যাম্পাসে আসা অতিথিদের গাড়িও আটকে পড়ে। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছি।’


পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘ছুটি বাতিল করা না করা এটা প্রভোস্ট কাউন্সিলের বিষয় কিন্তু এজন্য হুটহাট করে গেট আটকে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে কেন? এটি কোনভাবেই কাম্য নয়।’


উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বলেন, ‘ছুটির সিদ্ধান্ত আগেই হয়ে থাকে। প্রভোস্ট কাউন্সিল মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বছর হল খোলা রাখা কোনোভাবেই সম্ভব না। আগামীতে আমরা হল খোলা রাখার বিষয়টি বিবেচনা করবো।’


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ