ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

সুন্দরবন থেকে আরো ৩১টিসহ ১২৭ মৃত হরিণ উদ্ধার

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1867154 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1867154 জন
সুন্দরবন থেকে আরো ৩১টিসহ ১২৭ মৃত হরিণ উদ্ধার
ছবি : সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনে অনেক বন্য প্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছিল বন বিভাগ। ধীরে ধীরে সেটাই অনেকটা সত্যে রূপ নিয়েছে। রিমালের প্রভাবে সুন্দরবনে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে অসংখ্য বন্য প্রাণী তাদের আবাসস্থল হারিয়ে ফেলে। গত মঙ্গলবার থেকে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত সুন্দরবন থেকে ১২৭টি মৃত হরিণসহ ১৩২টি মৃত বন্য প্রাণী উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।



এর মধ্যে গতকাল উদ্ধার করা হয় ১৫টি মৃত হরিণ। সুন্দরবনের কটকা, কচিখালী, পক্ষীর চর, ডিমের চর, শেলার চর, নীলকমলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে মৃত বন্য প্রাণীগুলো উদ্ধার করা হয়। বনজ সম্পদ ও বন্য প্রাণীর ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানতে বন বিভাগের সদস্যরা সুন্দরবনে তল্লাশি চালাচ্ছেন। তবে বন বিভাগ এখন পর্যন্ত জানাতে পারেনি রিমালের তাণ্ডবে সুন্দরবনের কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।



খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো জানান, গত রবিবার রিমালের আঘাতের পর মঙ্গলবার থেকে সুন্দরবনে তল্লাশি করে একের পর এক মৃত হরিণ উদ্ধার করেছেন তাঁরা। শুক্রবারও তাঁরা বন থেকে ৩১টি মৃত হরিণ উদ্ধার করেন। এর মধ্যে কয়েকটির দেহ অনেকাংশে পচে গেছে। এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত চার দিনে তাঁরা ১২৭টি মৃত হরিণ, চারটি মৃত বন্য শূকর ও একটি মৃত অজগর উদ্ধার করেছেন।



এ ছাড়া জলোচ্ছ্বাসে নদীতে ভাসতে থাকা জীবিত ১৮টি হরিণ উদ্ধার করে সুন্দরবনে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ।

মিহির কুমার দো আরো জানান, রিমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের বিভিন্ন অংশ প্লাবিত হয়। সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে ৮ থেকে ১০ ফুট উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হয়েছে। এতে বন্য প্রাণী তাদের আবাসস্থল হারিয়ে ফেলে। পানির তোড়ে হরিণসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী ভেসে গেছে।



জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনে বন্য প্রাণীর অনেক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এখনো বনের মধ্যে বন বিভাগের সদস্যরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। দু-এক দিনের মধ্যে তল্লাশি শেষ করা হবে, যেহেতু এরপর বিভিন্ন কারণে বন্য প্রাণীর মৃতদেহ তেমন একটা পাওয়া যাবে না। প্রধান বন সংরক্ষক আমীর হোসাইন চৌধুরী জানান, রিমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসে সুন্দরবনের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে বন্য প্রাণীর ক্ষয়ক্ষতিটা বেশি হয়েছে।


জলোচ্ছ্বাসে লবণাক্ত পানি বনের মধ্যে আটকে দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে। বনের কোথাও আর কোনো বন্য প্রাণী মরে পড়ে আছে কি না, তা ঘুরে দেখছেন বন বিভাগের সদস্যরা। তালিকা পাওয়ার পর সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যাবে। জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল গত রবিবার প্রথমে সুন্দরবনে আঘাত হানে। এরপর ঝড়টি দীর্ঘ সময় ধরে উপকূল অতিক্রম করে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ