ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

যশোর-নড়াইল মহাসড়কে গাছ না কাটার ওপর স্থিতাবস্থা

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ


আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1872812 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1872812 জন
যশোর-নড়াইল মহাসড়কে গাছ না কাটার ওপর স্থিতাবস্থা
ছবি : সংগৃহীত

যশোর-নড়াইল মহাসড়কে ছয় লেন প্রকল্পের কারণে সড়কের পাশে থাকা গাছ না কাটার ওপরে আপাতত স্থিতি অবস্থা দিয়েছেন হাইকোর্ট।


রোববার বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।


সম্প্রতি তাপমাত্রা অত্যধিক বৃদ্ধি ও জনজীবন অতিষ্ঠ হওয়ার মধ্যেও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় হাজার হাজার গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে-মর্মে মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি নিয়ে গত ৫ মে জনস্বার্থে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)।


আদালতে রিটের পক্ষে  অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, যশোর-নড়াইল ছয় লেন মহাসড়কের উন্নয়ন প্রকল্প সরকার হাতে নিয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সড়ক নির্মাণের জন্য কোনও টেন্ডার আহ্বান করা হয়নি। তা সত্ত্বেও মহাসড়কের দুই পাশে শত শত গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে। 


তিনি আদালতে বলেন, প্রচণ্ড দাবদাহে মানুষের সুরক্ষার প্রয়োজনে গাছগুলো কাটা বন্ধ রাখা উচিত। গাছ সংরক্ষণ করেও ছয় লেনের সড়কের কাজ করা সম্ভব। তাতে জনগণ উপকৃত হবে। 


শুনানিতে সরকারের পক্ষে দাবি করা হয় যে, গাছ কাটা যাবে না এমন কোনও আইন দেশে নেই। গাছ কাটা বন্ধ হলে উন্নয়ন কাজ ব্যাহত হবে। 


তার বিপরীতে অ্যাডভোকেট মোরসেদ বলেন, মিডিয়ায় রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে যে, ২০৩০ সালে দাবদাহের অন্যতম শীর্ষ নগরী হবে ঢাকা। সুতরাং, গাছ সংরক্ষণ করে এখনই ব্যবস্থা না নিলে জনগণের ভোগান্তি দূর করা সম্ভব হবে না। এমনকি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩২ অনুসারে বেঁচে থাকার অধিকার যা মৌলিক অধিকার তাও বিঘ্নিত হবে।


শুনানি শেষে যশোর-নড়াইল ছয় লেনের মহাসড়ক নির্মাণে বর্তমানে সড়কের পাশে থাকা গাছ কাটার ওপরে স্থিতি অবস্থার আদেশ জারি করেন আদালত। একই সঙ্গে আদেশে উল্লেখ করেন যে, ছয় লেন মহাসড়কের টেন্ডার আহ্বান করার পরে এই স্থিতি অবস্থার আদেশ বাতিল হবে।


রিটকারীরা হলেন, মো. ছারওয়ার আহাদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট মো. এখলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া ও অ্যাডভোকেট রিপন বাড়ৈই।


বিবাদীরা হলেন- সচিব কেবিনেট বিভাগ; মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়; সচিব, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়; সচিব, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়; সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়; সচিব, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ; ডিরেক্টর জেনারেল পরিবেশ বিভাগ; মেয়র, ঢাকা উত্তর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, ঢাকা উত্তরা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন; প্রধান প্রকৌশলী, এলজিইডি, প্রধান বন সংরক্ষক; প্রধান প্রকৌশলী, সড়ক মহাসড়ক বিভাগ ও আইজিপি বাংলাদেশ পুলিশ।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ



আপডেট : বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১১.১১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ