সিলেটে ছাত্রলীগ নেতার নেতৃত্বে পিকআপভর্তি গরু ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গণধোলাইয়ের পর সোপর্দ করা ছিনতাইকারীকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
দক্ষিণ সুরমা থানার এসআই রাহুল দেবনাথ জানান, মামলার এক আসামিকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ জানায়, পিকআপভর্তি গরু ছিনতাইয়ের ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন থানার (এসএমপি) দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা হয়। সুনামগঞ্জের ছাতক থানার মণ্ডলীভোগ এলাকার মৃত তাজ উদ্দিনের ছেলে গরু ব্যবসায়ী গৌছ উদ্দিন এ মামলার বাদী।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন- মোগলাবাজার থানার জালালপুর ইউনিয়নের শেখপাড়ার শফিক মিয়ার ছেলে মো. বুরহান উদ্দিন, একই থানার সিলাম গ্রামের ঠিকরপাড়ার মৃত মোবারক আলীর ছেলে ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শামসোদ্দা সাদি, কোতোয়ালি থানার জল্লাড়পাড় এলাকার জেবু, মোগলাবাজার থানার সিলাম গ্রামের সিলামের মুন্না ও একই থানার রনি, জালালপুর ইউনিয়নের নছর আলীর ছেলে খসরু মিয়া। এছা ড়া আসামি করা হয়েছে- সেবুল, লিটন ও রনি নামের আরও তিনজনকেও। তাদের তিনজনের বাবার নাম জানা যায়নি। এরমধ্যে বুরহান উদ্দিনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা।
জানা যায়, মঙ্গলবার রাতে সুনামগঞ্জের ছাতক থানার মন্ডলীভোগ এলাকার গরু ব্যবসায়ী গৌছ উদ্দিন একটি পিকআপ ভর্তি গরু নিয়ে বিক্রির উদ্দেশে সিলেট নগরীতে আসছিলেন। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খাজাকালু এলাকায় আসা মাত্র চার থেকে পাঁচটি মোটরসাইকেলযোগে কিছু যুবক তার পিকআপটি ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে তাদের গাড়ি থেকে নামিয়ে অস্ত্রের মুখে ড্রাইভারকে জিম্মি করে। পরে তারা গাড়িটি নিয়ে জালালপুর রোডের দিকে চলে যায়। পরে দক্ষিণ সুরমা থানার টহল পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা মোবাইল ট্রাকিংয়ের মাধ্যমে গাড়ির অবস্থান শনাক্ত করে। পরে মোগলাবাজার থানা পুলিশের সহযোগিতায় জালালপুর ইউনিয়নের ছব্দলপুর থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছিনতাইকারী মো. বুরহান উদ্দিনকে গ্রেফতার করা হয়। তার দেখানো স্থান থেকে পাঁচটি গরু উদ্ধার করা হয়।