প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ রাজধানীর আশকোনা হজ ক্যাম্পে হজ কর্মসূচি-২০২৪ (হিজরি ১৪৪৫) উদ্বোধন করেছেন। তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে হজ কার্যক্রমের উদ্বোধনের পর হজযাত্রীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের জনগণের জন্যও হজযাত্রীদের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তবে বাংলাদেশি হজযাত্রীদের বহনকারী হজ ফ্লাইট আগামীকাল ঢাকা থেকে শুরু হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হুছামুদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশে সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত এসা ইউসুফ এসা আল দুহাইলান এবং হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (হাব) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। পাশাপাশি দু’জন হজযাত্রী হজ ব্যবস্থাপনায় তাদের অনুভূতি ও সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং হজ কার্যক্রম ডিজিটালাইজেশনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করেন।
অনুষ্ঠানে হজ কার্যক্রমের ওপর একটি অডিও-ভিজ্যুয়াল ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ প্রচেষ্টায় স্বাধীনতার পরপরই বাংলাদেশি হজযাত্রীদের জন্য হজ পালনের দ্বার খুলে দেন। ঢাকা হজ অফিসের আইটি ইনচার্জ কাজী মোঃ মুরাদ ই আলম জানান, এ বছর মোট ৮৫ হাজার ২৫৭ জন বাংলাদেশি হজ করতে পারবেন। এরমধ্যে ৪ হাজার ৫৬২ জন সরকারি ব্যবস্থাপনায় এবং বাকি ৮০ হাজার ৬৯৫ জন বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ করার সুযোগ পাবেন বলেও জানান তিনি। আলম বলেন, আজ পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪ হাজার ৩১৪ জন হজযাত্রী এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৭৮ হাজার ৮৯৫ জন হজ পালনের জন্য নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম হজযাত্রী পাঠানোর দেশ। ব্যবস্থা অনুযায়ী, বাংলাদেশি হজযাত্রীরা ঢাকায় দুই দেশের (বাংলাদেশ ও সৌদি আরব) অভিবাসন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবেন যা তাদের জেদ্দায় অভিবাসন প্রক্রিয়া থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করবে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ২০ জুন সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে ফিরতি হজ ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে এবং ফ্লাইনাস সৌদি আরব এবং বাংলাদেশের মধ্যে ২১ জুন হজ-পরবর্তী ফ্লাইট শুরু করবে।