পুলিশ সাংবাদিক আইনজীবী সহ পেশাজীবীদের উপর আক্রমণ, হতাকান্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের সভাপতি প্রফেসর ডা. একিউএম সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।
রোববার (৪ আগস্ট) সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের পেশাজীবীদের সমন্বিত মোর্চার এক বিবৃতিতে চট্টগ্রামের পেশাজীবীদের পক্ষে নেতৃবৃন্দ সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী, বর্তমান মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী ও এমপি মহিউদ্দিন বাচ্চুর অফিস-বাড়ি সহ দেশজুড়ে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের বাসা বাড়ি ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাঙচুর অগ্নিসংযোগেরও নিন্দা জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, থানায় ঢুকে ১৩ জন পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যাকারিদের আর সাধারণ ছাত্র ভেবে ছাড় দেয়ার সুযোগ নেই। এটি জঙ্গি-খুনিদের পরিকল্পিত কাজ। পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিইউজে সদস্য ও ডেইলী স্টারের স্টাফ রিপোর্টার এফ এম মিজানুর রহমানের ওপর হামলা, কুষ্টিয়ায় বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহ-সভাপতি আফরোজা আক্তার ডিউ'র উপর হামলা, ঢাকাই দেশ রূপান্তর অফিসে হামলা চালিয়ে এক অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করে দুষ্কৃতকারীরা। চট্টগ্রাম আদালত ভবনে অনুপ্রবেশকারী ছাত্র আন্দোলনের আড়ালে থাকা জামাত শিবিরের সন্ত্রাসীদের হামলায় কয়েকজন আইনজীবী আহত হয়েছেন ।
চট্টগ্রাম আদালত হামলায় আহতদের মধ্যে রয়েছেন , চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়াউদ্দিন, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদ চট্টগ্রামের অর্থ সম্পাদক ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি এডভোকেট মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুলতান মোহাম্মদ জনি, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ ওসমান, অ্যাডভোকেট উপল পাল, অ্যাডভোকেট করম উল্লাহ , অ্যাডভোকেট মোশাররফ, অ্যাডভোকেট আবুল মনসুর, অ্যাডভোকেট আজম আলী চৌধুরী জুয়েল প্রমুখ।
পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ এসব ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীদের বিচার দাবি করেন। নেতৃবৃন্দ বলেন, আদালত অঙ্গন, প্রেস ক্লাব সহ পেশাজীবীদের কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা ও সাধারণ মানুষের মনে স্বস্তি ও নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে নাগরিক সমাজের ঐক্যের বিকল্প নেই। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আর কোন হতাহতের ঘটনা কোনভাবেই কাম্য নয়। আর কোন সন্ত্রাস নয় । নয় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ। শান্তি চাই । শান্তি বিনষ্টকারীদের রুখে দিতে নাগরিক পেশাজীবী জনতার প্রয়োজন। সামান্য একটি কোটা প্রথা বিরোধী আন্দোলন থেকে রাষ্ট্রের এমন পরিস্থিতি তৈরি করা কাম্য নয়। সবার সচেতন দায়বদ্ধতা প্রয়োজন। যেকোনো মুল্যে বাংলাদেশ, গণতন্ত্র, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধী অপশক্তিকে মোকাবেলা করে পেশাজীবী নাগরিক সমাজকে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান চট্টগ্রামের মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পক্ষের সমন্বিত মোর্চাটির এই পেশাজীবী নেতৃবৃন্দ।
