টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক লোকমান হোসেনের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে ফরম পূরণে প্রতারণা ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক দফা দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে ভুক্তভোগী ২২ শিক্ষার্থী ও তাদের আত্মীয়-স্বজনসহ স্থানীয় লোকজন। মানববন্ধনে জড়িত শিক্ষকের বহিষ্কার দাবি করেন ভুক্তভোগীরা।
আজ মঙ্গলবার সকালে বাংলা দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনটি নিকরাইল পলশিয়া রানী দিনমনী উচ্চ বিদ্যালয়ের পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে শুরু হয়। পরে কলেজে ইট-পাটকেল ছোঁড়াছুঁড়ি করে শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ তাদের সরিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ভুক্তভোগী পরীক্ষার্থীরা জানান, ‘চোখের জলে আমাদের ও পরিবারের স্বপ্নগুলো ভেসে যাচ্ছে।
কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক লোকমান হোসেন আমাদের ২২ শিক্ষার্থীর কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়েও ফরম পূরণ করে দেওয়ার নামে প্রতারণা করেছেন। কলেজ কর্তৃপক্ষের গাফিলতির জন্য আমরা পরীক্ষা থেকে বঞ্চিত হলাম। আমরা পরীক্ষা দিতে চাই। আমাদের দাবি প্রতারক শিক্ষক লোকমানের বহিষ্কার করতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ জানান, ২২ জন শিক্ষার্থী চলমান এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারায় মঙ্গলবার সকালে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে। অবৈধভাবে ফরম পূরণের কারণে তাদের আবেদনটি বাতিল করেছে শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় জড়িত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কলেজ পরিচালনা কমিটি। পরে সেটি তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হবে।
গত শনিবার ২৯ জুন কলেজে গিয়ে ওই ২২ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র পায়নি।
পরে কলেজ থেকে তাদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয় বলে জানান তারা। পরদিন সকালে পরীক্ষা শুরুর আগে নিকরাইল পলশিয়া রানী দীনমনি উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে গিয়ে গেটে তালা ও বিক্ষোভ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে ভাঙচুর চালায় তারা। তখন কর্তব্যরত পুলিশের সঙ্গে পরীক্ষার্থীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়।
সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েনের পাশাপাশি প্রশাসন সমস্যা সমাধানের আশ্বাসের পর শিক্ষার্থীরা আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিত করে কেন্দ্র ত্যাগ করে।
এ বছর নিকরাইল শমশের ফকির ডিগ্রি কলেজ থেকে ১৭১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু অতিরিক্ত অর্থ দিয়েও ওই কলেজের ২২ শিক্ষার্থী অংশ নিতে পারেনি।