ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রসূতির পেটে গজ-প্যাড রেখে সেলাই করার অভিযোগ

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

এম এ সালাম রুবেল | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঠাকুরগাঁও
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১১.২০ অপরাহ্ন

আপডেট : মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১১.২০ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 264259 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 264259 জন
ঠাকুরগাঁওয়ে প্রসূতির পেটে গজ-প্যাড রেখে সেলাই করার অভিযোগ
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

 ঠাকুরগাঁও  আড়াই শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচারকালে এক প্রসূতির পেটে গজ প্যাড (স্যানিটারি ন্যাপকিন) রেখে সেলাই করে রিলিজ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে প্রতিবাদ করতে গেলে নার্স ও রোগীর স্বজনদের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে অভিযুক্ত চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীরা।


মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে ঠাকুরগাঁও আড়াই শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। ভুক্তভোগী নারী ঠাকুরগাঁও পৌর শহরের নিশ্চিন্তপুর এলাকার মো: আবুজর গিফারীর স্ত্রী।


লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গেল মাসের ২৫ জুলাই মধ্য রাতে সাথী আক্তারের লিভারে ব্যাথা ওঠার কারণে তার স্বামী আবুজর গিফারী ভোর রাতে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগে ভর্তি করান। তার কিছুক্ষণ পর নরমাল ডেলিভারির মাধ্যমে সাথী আক্তার সন্তান প্রসব করেন। এই সময় সাথী আক্তারের এক সাইড অস্ত্রোপচার করা হয়। 


অস্ত্রোপচার শেষে নার্সরা ভিতরে গজ ও একটি প্যাড রেখে সেলাই করে দেয়। পরদিন জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আইরিশ রহমানের উপস্থিতিতে সাথী আক্তারকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। এরপর গত ১৭ আগস্ট রোগীর প্রচন্ড ব্যাথা উঠলে আবারো হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং কতব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বেড রেস্ট দেয়। পরে রোগীর অবস্থা খারাপের দিকে গেলে ডাক্তার ডাক্তার ডাকার জন্য নার্সদের বলা হলে তারা ডাক্তার ডাকতে অস্বীকৃতি জানায় এবং বলে এখন ডাক্তারের রাউন্ড শেষ হয়ে গেছে তাই ডাক্তার আর কোন রোগী দেখবে না। পরদিন ডাক্তার আসলে তখন দেখানো হবে। 


এসময় কতব্যরত নার্সরা বলে ওঠেন রোগীর বেশি সমস্যা হইলে বাইরে প্রাইভেট ভাবে চিকিৎসা করান। এরপর রোগীর স্বজনরা ডাঃ জিন্নাত পারভীনের কাছে নিয়ে গেলে তিনি অবজারভেশন করেন এবং রোগীর প্রসাবের রাস্তা থেকে একটি সম্পূর্ণ প্যাড (স্যানিটারি ন্যাপকিন) বের করেন। 


এ বিষয়ে রোগীর স্বামী আবুজর গিফারী অভিযোগ করে বলেন, গতকাল আমার স্ত্রী ব্যাথা অনুভব করলে হাসপাতালে নিয়ে আসি। সেখানকার নার্স ও চিকিৎসকদের কাছে ভালো সেবা না পেয়ে ডাক্তার ডাঃ জিন্নাত পারভীনের কাছে যায়। তিনি আমার স্ত্রীকে ভালো ভাবে চেকআপ করে গজ ও একটি প্যাড বের করেন। এটা যদি আরো কিছুদিন ভেতরে থাকতো তাহলে আমার স্ত্রীকে বাচানো যেত না।


তিনি আরও বলেন, ডা. আইরিশ রহমান কিভাবে একজন রোগীকে ভালো ভাবে না দেখে রিলিজ দিলেন? অবশ্যই তার গাফিলতি রয়েছে। আর আগেও এই চিকিৎসকের নামে অবহেলার অভিযোগ ওঠেছে। তার পরে কেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না। শুধু চিকিৎসক নন, হাসপাতালের নার্সদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে, তারা ঠিকমতো রোগীদের সেবা করে না। আমি ওই চিকিৎসক ও নার্সদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তত্ত্বাবধায়কের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। আশা করি তত্ত্বাবধায়ক তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে।

তবে এবিষয়ে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ও স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আইরিশ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ করেননি। 


অভিযোগ প্রসঙ্গে ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: মোহাঃ ফিরোজ জামামের সঙ্গে যোগাযোগ করা তিনি বলেন, রোগীর স্বজনরা একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যদি কোন গাফিলতি পাওয়া যায় তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

এম এ সালাম রুবেল | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঠাকুরগাঁও
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১১.২০ অপরাহ্ন
আপডেট : মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫, ১১.২০ অপরাহ্ন