ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

বোয়ালখালীতে সেতু নির্মাণ

বিকল্প কাঠের সেতু ভেঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১১.০৬ অপরাহ্ন

আপডেট : রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১১.০৬ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 347194 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 347194 জন
বিকল্প কাঠের সেতু ভেঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

বোয়ালখালীতে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ও চরণদ্বীপ ইউনিয়নকে যুক্ত করে খরনদ্বীপ এলাকায় সৈয়দ খালের উপর নির্মিত কাঠের বিকল্প সেতু ভেঙ্গে যোগাযোগব্যবস্থা পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে ওই গ্রামের মানুষ। 


শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ও চরণদ্বীপ ইউনিয়নকে যুক্ত করে খরনদ্বীপ এলাকায় সৈয়দ খালের উপর ৪৩ মিটার দীর্ঘ সেতু নির্মানের উদ্যোগ নেয় এলজিইডি। এর পাশেই  পারাপারের জন্য কাঠের বিকল্প সেতু নির্মান করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।


স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, সেতুই ছিল যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। এখন হাসপাতালে যাওয়া, বাজার করা বা জরুরি কাজে যাতায়াত অসম্ভব হয়ে পড়েছে।


জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে কালুরঘাট-ভান্ডালজুড়ি সড়কের কেরানী বাজার এলাকার কেরানী বাজার ব্রিজের শুরু হয় সেতু নির্মাণকাজ। চুক্তি অনুযায়ী ২০২২ সালের অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চার বছর পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি প্রকল্পটি। প্রথমে ‘ACNT-JV’ নামক প্রতিষ্ঠানকে ৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকায় কাজ দেওয়া হয়।

তবে নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধির অজুহাতে কাজ অসমাপ্ত রেখেই চলে যায় তারা।  নতুন করে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মেসার্স নুর সিন্ডিকেট নামের প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় কাজের দায়িত্ব, যার ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। তবে জুন পর্যন্ত অগ্রগতি মাত্র ৪৫ শতাংশ। 


দীর্ঘদিন ধরে নির্মাণাধীন সেতুর কাজ শেষ না হওযায় গাড়ি ও মানুষের পায়ে হেঁটে পারাপারের জন্য পাশে একটি কাঠের সাঁকো তৈরি করা হলেও  এটিও জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। বিকল্প সড়ক সেতু না থাকার  ফলে বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে ভাঙ্গা কাঠের সাঁকো দিয়ে পারাপার করছিল তাও ভেঙ্গে যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে। 


শ্রীপুর-খরনদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো: হাসান চৌধুরী বলেন, কাঠের সেতুটি ভেঙে পড়ায় ওই পাড়ের মানুষ খুবই দুর্ভোগে পড়েছে। কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে দ্রুত সংস্কারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। 


বোয়ালখালী উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: ফারুক হোসেন বলেন, জোয়ারের পানিতে বিকল্প সেতু একপাশে ভেঙ্গে যায়, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় অতি দ্রুত মেরামত করা হবে।


সেতুটি দ্রুত নির্মিত হবে, দূর হবে দুই ইউনিয়নবাসীর দুর্দশা এমন প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১১.০৬ অপরাহ্ন
আপডেট : রবিবার, ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১১.০৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ