ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি পুলিশের অভিযান

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১.০২ অপরাহ্ন

আপডেট : রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১.০২ অপরাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 872332 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 872332 জন
আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি পুলিশের অভিযান
আত্মগোপনে থাকা যশোর জেলা আওয়ামী লীগ ও দলের সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। রোববার দুপুরে ছবি: সংগৃহীত

যশোরে আত্মগোপনে থাকা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারসহ শীর্ষ নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়েছে। আজ রোববার দুপুরে গাড়ির বহরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য নিয়ে এমন অভিযান চালানো হয়। অভিযানে কাউকে আটক বা কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গণ–অভ্যুত্থানের পর থেকে এসব নেতা আত্মগোপনে আছেন।


পুলিশ বলছে, দলীয় পরিচয়ের কারণে কোনো নেতার বাড়িতে অভিযানে যায়নি পুলিশ। বিভিন্ন মামলার আসামি আটক, মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে।


পুলিশের অভিযানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতিবেশীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করে। অভিযানের সময় নেতা-কর্মীদের বাড়ির সামনে উৎসুক জনতাকে ভিড় করতে দেখা গেছে।


স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আজ দুপুরে সাত গাড়ি পুলিশ প্রথমে প্রবেশ করে শহরের কাঁঠালতলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বাড়িতে। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় বিক্ষুব্ধ জনতা বাড়িটি পুড়িয়ে দেয়। এরপর শাহীন চাকলাদার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে আর থাকেন না। বাড়িটি সংস্কারের কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলে চলে যায়।


এরপর পুলিশের গাড়িবহর যায় যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন ওরফে টাক মিলনের বাড়ির দিকে।

সেখান থেকে শহরের কদমতলায় অবস্থিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলামের (জুয়েল) বাড়ি; কাজীপাড়ায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সাইফুজ্জামান (পিকুল) এবং পরে যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের (বিপুল) বাড়িতে যায়। এসব বাড়ি থেকে কাউকে আটক বা কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।


যুবলীগের নেতা শফিকুল ইসলামের ভাবি জ্যোৎস্না বেগম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের বাসায় পুলিশ এসে জুয়েলের খোঁজখবর নেয়। আমরা বলি, জুয়েল অনেক আগে থেকেই বাড়িতে নেই। তারপর পুলিশ চলে যায়। কাউকে হেনস্তা করেনি।’


তবে অভিযানে থাকা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, আওয়ামী লীগ ও দলের সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের বাড়িতে বিভিন্ন মামলার আসামিরা অবস্থান করছেন, এমন তথ্যের ভিত্তিতে তাঁরা অভিযান চালিয়েছেন। তবে অভিযানে কাউকে পাওয়া যায়নি। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত বলেন, মূলত মাদক ও অস্ত্রবিরোধী অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। এটা কোনো দল বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযান নয়। এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে।


এদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা জানান, যশোরসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করছেন। ঝটিকা মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। এরই অংশ হিসেবে নেতা–কর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পুলিশের এ অভিযান চালানো হচ্ছে।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১.০২ অপরাহ্ন
আপডেট : রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১১.০২ অপরাহ্ন