ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় ১১ আসামিকে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা
চট্টগ্রাম
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২.০৬ পূর্বাহ্ন

আপডেট : বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২.০৬ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 870818 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 870818 জন
চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় ১১ আসামিকে অন্য মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ
ছবি : সংবাদদাতা প্রেরিত।

চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলার ১১ আসামিকে বিস্ফোরক আইনের আরেক মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রামের ষষ্ঠ মহানগর হাকিম এস এম আলাউদ্দিন মাহমুদ এ আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- প্রেমনন্দন দাশ বুজা (১৯), রনব দাশ (২৪), বিধান দাশ (২৯), বিকাশ দাশ (২৪), রুমিত দাশ (৩০), রাজ কাপুর (৫৫), সামির দাশ (২৫), শিব কুমার দাশ (২৩), ওম দাশ (২৬), অজয় দাশ (৩০) ও দেবী চরণ (৩৬)। আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ খুনের মামলায় গত ২৬ জানুয়ারি তাদের নগরীর কোতোয়ালী থানার বাণ্ডেল রোডের সেবক কলোনি থেকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।


চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী জানান, মঙ্গলবার ওই ১১ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুরের পর তার অনুসারীদের সঙ্গে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সহিংসতার ঘটনায় আইনজীবী আলিফের ভাইয়ের করা মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করে পুলিশ।শুনানি শেষে তাদের গ্রেফতার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। পরে আসামিদের চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।


চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় দায়ের হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গত বছরের ২৫ নভেম্বর রাতে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ইসকনের বহিষ্কৃত সংগঠক ও সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেফতার করে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরদিন তাকে চট্টগ্রাম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।


কারাগারে পাঠানোর নির্দেশকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গনে ত্রাস সৃষ্টি করে চিন্ময়ের অনুসারীরা। প্রায় তিন ঘণ্টা তাকে বহনকারী প্রিজন ভ্যান আদালত এলাকায় আটকে রাখে তারা। একপর্যায়ে পুলিশ, বিজিবি লাঠিপেটা ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তখনই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। পরবর্তীতে নগরীর লালদিঘীর পাড় থেকে কোতোয়ালী এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।


সংঘর্ষের সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে খুন করা হয়। আইনজীবী সমিতি এ হামলার জন্য ইসকন সদস্য ও সমর্থকদের দায়ী করে। ওই ঘটনার চার দিন পর নিহত আলিফের ভাই খানে আলম চট্টগ্রামের কোতোয়ালী থানায় বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা করেন। ভাঙচুর, বিস্ফোরণ ও জনসাধারণের ওপর হামলার অভিযোগে করা ওই মামলায় ১১৬ জনকে আসামি করা হয়। এ ছাড়া আলিফ হত্যার ঘটনায় তার বাবা জামাল উদ্দিন ৩১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব সংবাদদাতা
চট্টগ্রাম
বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২.০৬ পূর্বাহ্ন
আপডেট : বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ১২.০৬ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ