চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে স্থানীয় এক তরুণী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। শনিবার (৮ মার্চ) দুপুর ১টার দিকে ওই তরুণী উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত এলাকায় ঘুরতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয়রা সীতাকুণ্ড থানা পুলিশকে খবর দিলে বিকাল ৩টার দিকে থানা পুলিশের একটি টিম গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।
জানা গেছে, ভুক্তভোগী তরুণী সীতাকুণ্ড গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী। তিনি শনিবার দুপুরে রাকিব (২৫) নামে তার বন্ধুর সঙ্গে গুলিয়াখালী সী-বিচ এলাকায় ঘুরতে যায়। পরে বীচ এলাকার বেড়িবাঁধ পার হয়ে (দিদারের প্রজেক্ট) পশ্চিমে বাগানের ভেতরে সাগর পাড়ে যাওয়ার সময় চারজন যুবক রাকিবকে মারধর করে ওই তরুণীকে জিম্মি করে উপকূলীয় বনের ভেতরে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে স্থানীয় লোকজন মেয়েটিকে উদ্ধার করলেও ধর্ষকরা পালিয়ে যায়।
ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী বলেন, আমরা দুজন গুলিয়াখালী সী-বিচে ঘুরতে এসেছি। সাগর পাড়ে নামার সময় আমাকে জিম্মি করে পাশের একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে তারা পালাক্রমে আমাকে ধর্ষণ করে। অনেক আকুতি-মিনতি করেও নিজেকে রক্ষা করতে পারিনি।
স্থানীয়রা জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে মেয়েকে উদ্ধার করি। মেয়েটি খুবই ভয়ের মধ্যে ছিলো। গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে জানিয়েছেন। সী-বিচে পর্যাপ্ত কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেই। বিভিন্ন সময় নানা অনৈতিক কাজ হয়। বিচে আসা পর্যটকরা নানাভাবে বখাটে ও সন্ত্রাসীদের হাতে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের খবর পেয়ে তাঁরা শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন। ভুক্তভোগীর সঙ্গে প্রাথমিকভাবে আলাপ করা হয়েছে। অভিযোগ দায়েরের পর এই বিষয়ে বিস্তারিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.ফখরুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে। আইনগত ব্যবস্থা চলমান।