ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা সদস্যসচিবসহ আহত ১৫ জন

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
মিরসরাই উপজেলা
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ৪.২৫ পূর্বাহ্ন

আপডেট : সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ৪.৩৪ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 487821 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 487821 জন
মিরসরাইয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে উপজেলা সদস্যসচিবসহ আহত ১৫ জন
- মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী -সহ আহত কয়েকজন।


চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে বিএনপির অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী, বারইয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মঈন উদ্দিন লিটন, সদস্য সচিব জসিম উদ্দিন কমিশনার, পৌরসভা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহেদ হোসেন, হিঙ্গুলী ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা রায়হান,  পৌরসভা ছাত্রদলের সদস্য শুভ, স্বেচ্ছাসেবক দলের জোবায়ের , কাশেম  মাহফুজ, গোলাম মাওলা, ইব্রাহিম সহ অজ্ঞাত অন্তত ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় গোলাম মাওলা নামের একজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রবিবার (২৯ জুন) রাত ৯টার দিকে বারইয়ারহাট পৌর সদরের কাশবন রেস্টুরেন্টের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

আহত উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, “রাতে দলের কয়েকজন নেতাকর্মীকে নিয়ে কাশবন রেস্টুরেন্টে চা-নাস্তা করতে যাই। বের হওয়ার সময় আগে থেকেই ওঁত পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান, সাবেক সদস্যসচিব গাজী নিজাম ও পৌর বিএনপির আরেক আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর অনুসারীরা পরিকল্পিতভাবে এই হামলা চালানোর অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরো বলেন, আমাদের জনপ্রিয়তা ও সাংগঠনিক সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশের সহযোগিতা না পাওয়ার বিষয়ে অভিযোগ করে বলেন, “ঘটনার সময় পুলিশকে ফোন দিলেও তেমন কোনো সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। এমনকি আমাকে একপর্যায়ে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছিল।”

অন্যদিকে, হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব গাজী নিজাম উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, “কাশবন হোটেলের সামনে আমাদের কয়েকজন ছাত্রদল-যুবদলের নেতাকর্মী দাঁড়িয়ে ছিল। তাদেরকে উদ্দেশ্য করে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীরা কটূক্তি করলে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয় এবং এর জেরেই সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটে।”

মিরসরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সূত্রে জানা যায়, “হামলায় আহত চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহত একজনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আহত অনেকে বারইয়ারহাট বাজারের বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিয়েছেন।”

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। বিএনপির স্থানীয় নেতাদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগে রাজনৈতিক অঙ্গনে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। এদিকে এই ঘটনার পর জোরারগঞ্জ থানায় গিয়ে আজিজুর রহমান চৌধুরী, মঈন উদ্দিন লিটন’র অনুসারীরা বিক্ষোভ করেছেন।

জোরারগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, “এটি দলীয় কোন্দল থেকে ঘটে থাকতে পারে। আমরা খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোন মামলা হয়নি বলেও নিশ্চিত করেন তিনি ”


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/এনকেডি

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | রাজনীতি
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
মিরসরাই উপজেলা
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ৪.২৫ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ৪.৩৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ