দেশের বিভিন্ন স্থানে গ্যাস সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে আছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ গ্রাহকরা। বুধবার থেকেই গ্যাসের চাপ কমতে শুরু করে। এতে রান্নাসহ প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারছে না সাধারণ মানুষ।
পেট্রোবাংলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে মহেশখালীর গভীর সমুদ্রে অবস্থিত ফ্লোটিং স্টোরেজ অ্যান্ড রিগ্যাসিফিকেশন ইউনিটে (এফএসআরইউ) গত দুইদিন ধরে এলএনজি কার্গো জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হয়নি। এর ফলে জাতীয় গ্রিডে আরএলএনজি (রি-গ্যাসিফাইড লিকুইফাইড ন্যাচারাল গ্যাস) সরবরাহ উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) খোঁজ নিয়ে জানা গেছে রাজধানীর প্রায় সব এলাকাতেই গ্যাস সরবরাহ প্রায় বন্ধ রয়েছে। এতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। রাজধানীর বাড্ডা এলাকার বাসিন্দা নিলুফার ইয়াসমীন বলেন, গ্যাস নেই। রান্না করতে পারছি না। আগে তো টুকটাক সমস্যা হতো।
এখন একেবারেই গ্যাস পাচ্ছি না। জানি না কখন গ্যাস পাবো। বাধ্য হয়ে হিটারে রান্না করেছি। এর আগে, বৃধবার (১৮ জুন) পেট্রোবাংলা জানিয়েছে, বৈরী পরিস্থিতিতে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসির আওতাধীন বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের স্বল্প চাপ বিরাজ করছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবারও এলএনজি কার্গো জাহাজ এফএসআরইউতে ভেড়ানো সম্ভব হবে।