এই ‘মক ড্রিল’-এর মূল লক্ষ্য ছিল কোনও সন্ত্রাসী হামলা বা দুর্ঘটনার পরিস্থিতিতে দ্রুত প্রতিক্রিয়া জানানোর সক্ষমতা যাচাই ও সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় সাধন।
ফারাক্কা ব্যারাজ দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের মধ্যে স্থলপথের প্রধান সংযোগস্থল হওয়ায় এটি কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই অঞ্চলে যেকোনও অপ্রীতিকর ঘটনার প্রভাব রাজ্যের একাংশে বিচ্ছিন্নতার সৃষ্টি করতে পারে।
সিআইএসএফ কমান্ডেন্ট মুকেশ কুমার বলেন, "বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে কোনও ঝুঁকি নেওয়া সম্ভব নয়। শুধুমাত্র সীমান্তে নয়, দেশের অভ্যন্তরেও সতর্ক থাকতে হবে। আজকের মহড়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রস্তুতি ঝালিয়ে নিয়েছি এবং কোথায় কোথায় উন্নতি দরকার তা চিহ্নিত করা হয়েছে।”
এর আগেও উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ির বাগরাকোটে ‘তিস্তা প্রহার’ নামে সামরিক মহড়া অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যেখানে সেনাবাহিনীর বিশেষ বাহিনী এবং আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে যুদ্ধকালীন কৌশল অনুশীলন করা হয়েছিল।
ফারাক্কার এই মহড়া তুলনামূলকভাবে কম পরিসরে হলেও অংশগ্রহণকারী সংস্থার সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য। স্থানীয় প্রশাসন এবং সাধারণ মানুষ এই মহড়াকে নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির একটি কার্যকর পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।