দ্বিস্তরবিশিষ্ট নির্বাচক কমিটি করার প্রতিবাদে ২০১৬ সালে প্রধান নির্বাচকের পদ ছেড়েছিলেন ফারুক আহমেদ। ওই সময়ে প্রধান কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহের সঙ্গে তার সম্পর্কও তেমন সুবিধার ছিল না বলে প্রচারিত হয়েছিল। এর আট বছর পর সম্ভাব্য বোর্ড সভাপতি হিসেবে ফারুকের নাম আলোচনায় আসার আগে এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক বলেছিলেন, কখনো দায়িত্ব পেলে শ্রীলঙ্কান কোচকে রাখার কোনো কারণ দেখেন না তিনি। মনোভাব বদলাননি গত ২১ আগস্ট বিসিবি সভাপতির চেয়ারে বসার দিনও।
তাই ‘সিরিয়াস মিসকনডাক্ট’-এর অভিযোগে হাতুরাসিংহেকে বরখাস্ত করার পর আছে অন্য আলোচনা। প্রতিহিংসা থেকে ফারুক এ রকম করে থাকতে পারেন বলে মত আছে অনেকের। যদিও ফারুক নিজে এ রকম আলোচনার কোনো ভিত্তি খুঁজে পান না, ‘তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ ছিল। জাতীয় দলের ক্রিকেটারকে মারা এবং ‘আনপেইড লিভ’কে ‘পেইড’ করে নেওয়া—এগুলো গুরুতর অসদাচরণ।
নিয়মের মধ্যে থেকেই তাকে বের করা হয়েছে। তা ছাড়া চরিত্রগতভাবে আমি প্রতিহিংসাপরায়ণ নই। কাউকে পেছন থেকে ধাক্কা দেওয়ার লোকও নই। হুট করে কোনো সিদ্ধান্তও নিই না। যা-ই নিই, নিয়ম মেনেই নিই।”
আগের বোর্ডের তদন্ত রিপোর্ট নিয়ম মেনে এগোনোর পথ খুলে দিয়েছিল বলে জানালেন ফারুক, ‘এই কাজটি আরো এক বছর আগেই হওয়া দরকার ছিল, (২০২৩) বিশ্বকাপের পরপরই। আগের বোর্ড কাজটি করেনি। আমি এসে করেছি। কারণ এটা সিরিয়াস ইস্যু।
আমি বুঝি না তারা (আগের বোর্ড) কোনো অ্যাকশন কেন নেয়নি! অথচ তদন্ত রিপোর্টে সব কিছুই উল্লিখিত ছিল।’ এমনকি নাসুম আহমেদকে শারীরিকভাবে আঘাত করার ঘটনায় হাতুরাসিংহের জবাবও, “নিক লি বলে একজন কোচ (স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ) ছিলেন। তিনি ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী। খেলোয়াড় তো লিখিতভাবে দিয়েছে। অথচ হাতুরাসিংহেকে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করার পর (তদন্ত কমিটিকে) বলেছিলেন, ‘আমার মনে নেই।’ কাউকে মেরে থাকলে হয় অস্বীকার করবেন নয়তো স্বীকার করবেন। এই উত্তর কিভাবে দেন যে মনে নেই! আপনি একটি ছেলেকে থাপ্পড় মারলে কি ভুলে যাবেন এবং বলবেন যে আমার মনে পড়ছে না? এটি কি গ্রহণযোগ্য কোনো উত্তর? আপনি গ্রহণ করবেন এমন জবাব?”