উত্তরের সীমান্ত ঘেষা গ্রামীন জনপদ নওগাঁ র আত্রাইয়ে গ্রামীণ হাট বাজারগুলোতে এখন শীতকালীন শাক সবজির সমাহার। চড়াদামের কারনে অসন্তোষ ক্রেতাসাধারনের, সাধ্যের মধ্যে দাম না থাকায় কিছুটা অস্বস্তিতে এই জনপদের খেটে খাওয়া শ্রমিক দিনমজুর সহ নিম্ন-মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবনে নেমেছে অমানিশার ঘোর অন্ধকার।
প্রান্তিক পর্যায়ের খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষের প্রধান কয়েকটি সমস্যার মধ্যে অন্যতম সমস্যা হলো দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি।
মাছ সবজি কোন কিছুর কমতি নেই হাট বাজারের দোকানগুলোতে তবুও দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে কোন কিছুতেই স্বস্তি মিলছেনা সাধারণ ক্রেতাদের। বাজারে আসা শীতের আগাম সবজি পাতে তোলা যেন স্বপ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে নিম্ন আয়ের মানুষের।
এটি যেন, গ্রামীন জনপদের নিম্ন আয়ের মানুষের বিশাল বড় একটা সমস্যা।
বিগত কয়েক সপ্তাহের ব্যাবধানে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে ক্রমাগতভাবে বেড়েছে নিত্য প্রয়েজনীয় খাদ্যপণ্য মাছ. মাংস. শাক সবজি. ডিম ও ব্রয়লার মুরগীর দাম।বিশেষ করে সবজির দাম বেশ চড়া হওয়ায় প্রভাব পড়েছে বেশি তাই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সরজমিনে উপজেলার বিভিন্ন হাট ঘুরে জানা যায়, সপ্তাহের ব্যাবধানে কেজি প্রতি সবজিতে ৫ থেকে ২৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম। আলু, মুলা, কচুর মুখি, পটল, বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ এবং করলা, বেগুন, ফুলকপি বরবটি, বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে। পেঁপে,পুঁইশাক ২০থেকে ৩০টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, টমেটোর দাম ২০০থেকে ২২০ টাকা পালং শাক ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমলেও বেড়েছে পেঁয়াজের দাম প্রকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৬০ টাকা কেজি দরে।
উপজেলার ভবানী পুর বাজারে আসা বেশ কয়েকজন ক্রেতার সাথে মতবিনিময় হলে-দোকান শ্রমিক ফাসাদুল ইসলাম বলেন, এতো চড়া দামে মাছ সবজি কিনে চার সদস্যের পরিবারের চাহিদা মেটানো অসম্ভব সস্তা মাছ পাঙ্গাস এবং সবজি হিসাবে সস্তা কাঁচা পেঁপে নিয়েছি ক্ষুধা নিবারনে খাবার খেয়ে বাঁচতে তো হবে।
ক্রেতা, মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অসাধু ব্যাবসায়ীদের মুনফা লিপ্সার কারনে অনিয়ন্ত্রিতভাবে বাজারে মুল্য বৃদ্ধির ধাক্কা আসায়, এই গ্রামীন জনপদের মানুষের জীবন যাত্রার মান নীচের দিকে চলে যাচ্ছে।
দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি জনজীবনে বয়ে আনছে অমানিশার ঘোর অন্ধকার। এমন পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ভোক্তাদের হাতে যৌক্তিক মূল্যে খাদ্য ক্রয়ে এবং অসাধু ব্যাবসায়ীদের দৌরাত্ম ঠেকাতে বাজার মনিটরিং জরুরি এমনটাই মনে করছেন সাধারণ সচেতন মহল।