জাতিসংঘের মানবাধিকার হাইকমিশনার ভলকার টুর্ক বাংলাদেশে আসছেন। সম্ভাব্য সফরটি আগামী ২৯ থেকে ৩১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। এই সফরে তিনি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে বৈঠক করবেন, পাশাপাশি অন্যান্য সরকারী কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গেও আলোচনা করবেন।
এ সময়, ভলকার টুর্ক বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের আপডেট জানার চেষ্টা করবেন। তার অফিস বাংলাদেশে একটি স্থায়ী অফিস খোলার পরিকল্পনা করেছে, যা নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
এ বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, জুলাই ও আগস্টে মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তের বিষয়টি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সাথে ভলকার টুর্কের ফোনালাপ হয়েছিল। যদিও গত মাসে তার ঢাকা সফরের সম্ভাবনা ছিল, শিডিউল না মেলায় তা হয়নি। তবে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সাইডলাইনে তাদের একটি বৈঠক হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস বর্তমানে ১৯টি দেশে রয়েছে এবং এর প্রধান কার্যক্রম হচ্ছে মানবাধিকার পরিস্থিতির পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করা। অফিস খোলার জন্য সরকারী অনুমোদন পেলে এটি হবে ২০তম অফিস।
এই প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রদূতরা উল্লেখ করেছেন, মানবাধিকার বিষয়টি রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর। বাংলাদেশে যেকোনো রাজনৈতিক সরকার মানবাধিকার নিয়ে জাতিসংঘের সাথে মতবিরোধের মুখোমুখি হতে পারে। সাবেক কূটনীতিকদের মতে, জাতিসংঘের আগ্রহের মধ্যে রয়েছে কিছু বিষয়, যা ধর্মীয় বা সামাজিক কারণে অনেক দেশে গ্রহণযোগ্য নয়।
বিশেষ করে, পাহাড়ি অঞ্চলের ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীকে 'আদিবাসী' হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে জাতিসংঘের চাপ বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠতে পারে।