গার্মেন্টস খাতে চলমান অস্থিরতার কারণে আনুমানিক ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। তিনি শনিবার (১৯ অক্টোবর) উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এখনও গার্মেন্টস খাতে ক্ষতির সঠিক পরিমাণ নিরূপণের কাজ চলছে। তবে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখযোগ্য এবং এটি আরও বাড়তে পারে। রফিকুল ইসলাম আরও জানান, আমাদের শিল্পের পরিস্থিতি ভালো নেই, কারণ বিশ্বব্যাপী পোশাক আমদানি কমে যাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি-আগস্ট সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি ১.৫ শতাংশ বেড়েছে, কিন্তু বাংলাদেশ থেকে তা ৩.৮ শতাংশ কমেছে। অপরদিকে, চীন, ভিয়েতনাম, ভারত এবং কম্বোডিয়ার রফতানি বেড়েছে।
ইউরোপের ক্ষেত্রে, জানুয়ারি-জুলাই সময়ে মোট আমদানি ৩.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেলেও, বাংলাদেশের রফতানি মাত্র ২.৮ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের রফতানি প্রবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে পিছিয়ে পড়েছে।
রফিকুল ইসলাম বলেন, সাম্প্রতিক কিছু শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতার কারণে সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের ২৫০-৩০০ মিলিয়ন ডলারের রফতানি ও উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এলডিসি উত্তরণের পর গার্মেন্টস খাতের নগদ সহায়তা কমানোর ফলে শিল্পে ঝুঁকি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি সরকারের কাছে নিরাপদ এক্সিট পলিসির দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং শ্রমিকদের প্রতি সহানুভূতির কথা উল্লেখ করে বলেন, যদি নৈরাজ্য চলতে থাকে, তবে তার দায়দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট সকলকে নিতে হবে।