চিঠি আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে যেকোনো ব্যক্তির (প্রযোজ্য) ঠিকানা লেখা হয়, সেখানে পোস্ট অফিসের নাম উল্লেখ করা হয়। কিন্তু লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার লাহারকান্দি ইউনিয়নে চারটি পোস্ট অফিসের নাম ব্যবহার করা হয়, অথচ এর মধ্যে তিনটির কোনো অস্তিত্ব নেই। স্থানীয়রা এই 'অদৃশ্য' পোস্ট অফিসের নাম ব্যবহার করে চলছেন।
গ্রামের চারটি পোস্ট অফিসের মধ্যে শুধু লক্ষ্মীপুর পোস্ট অফিসই বাস্তব, যা জেলা পোস্ট অফিস। বাকী তিনটি—জকসিন, রামানন্দি ও পিয়ারাপুর—পোস্ট অফিসের কার্যক্রম বাস্তবে চলে চায়ের দোকান কিংবা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানে। রামানন্দি পোস্ট অফিসের পিয়ন শামছুল আলম জানান, প্রায় ৩০ বছর ধরে পোস্ট অফিসের কার্যক্রম পরিচালনা করছেন, কিন্তু অফিসের জন্য কোনো স্থান নেই।
পোস্ট অফিসের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সঠিক জায়গার অভাব এবং অবকাঠামোগত অফিসের অভাবে গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। লক্ষ্মীপুরের ডাক বিভাগের দায়িত্বশীলরা জানান, সরকারী নীতিমালার আওতায় যেসব এলাকায় জমি দান করা হয়েছে, সেখানে অফিস স্থাপন করা হয়েছে। যেখানে জমি পাওয়া যায়নি, সেখানকার কার্যক্রম বিভিন্ন স্থানে চলছে।
এভাবে, লক্ষ্মীপুরের পোস্ট অফিসগুলো শুধুমাত্র নামের জন্য রয়েছে, বাস্তবে তাদের কোনো অস্তিত্ব নেই।