ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

শব্দের চেয়ে ৪ গুণ গতির ড্রোন বানাচ্ছে চীন

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১.২৮ পূর্বাহ্ন

আপডেট : সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১.২৮ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1088294 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1088294 জন
শব্দের চেয়ে ৪ গুণ গতির ড্রোন বানাচ্ছে চীন
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং (বাঁয়ে) এবং প্রতীকী দ্রুতগতির ড্রোন। ছবি : সংগৃহীত

বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্কের প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স কিছু দিন আগে পরবর্তী প্রজন্মের রকেটের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে ক্যালিফোর্নিয়া থেকে ভারত আসতে সময় লাগবে মাত্র ৩০ মিনিট। আর চীনের সাংহাই শহরে পৌঁছতে মাত্র ৩৯ মিনিট লাগবে। এবার একটি চীনা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, তারা একটি সুপারসনিক ড্রোন তৈরির চেষ্টা করছে। একবার সফল হলে অত্যাধুনিক এ ড্রোন শব্দের চেয়েও চার গুণ গতিতে ছুটতে সক্ষম হবে।


উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে চীনের লিংকং তিয়ানশিং টেকনোলজি। তারা যে আনমেন্ড অ্যারিয়েল ভেহিক্যাল বানাচ্ছে সেটির নাম কুয়ানতিয়ানহৌ বা সোরিং স্টোন মানকি। চীনের দক্ষিণপশ্চিমের সিয়াচুন প্রদেশের রাজধানী চ্যাংডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেয় প্রতিষ্ঠানটি। চীনের গণমাধ্যম বলছে, সামরিক হাইপারসনিক প্রযুক্তিকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের চেষ্টা করছে লিংকং তিয়ানশিং। নিজেদের এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে খুব দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আগামী বছরই এই সুপারজেট পরীক্ষামূলক উড্ডয়ন করতে পারে।


চীন সুপারসনিক প্রযুক্তিতে কতটা এগিয়েছে এবং সেটার ব্যবহার বেসামরিক খাতে এতটা নিখুঁতভাবে করছে, তা লিংকং তিয়ানশিংয়ের এই প্রজেক্টই বলে দেয়। গেল বছরের অক্টোবরে লিংকং তিয়ানশিং একটি প্রোটোটাইপ বাণিজ্যিক প্লেনের পরীক্ষা চালায়। বিমানটি কনকর্ডের চেয়ে প্রায় দিগুণ গতিতে ছুটতে পারে। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে দ্রুতির যাত্রীবাহী বিমান হচ্ছে কনকর্ড। নিউইয়র্ক থেকে লন্ডনের প্রায় সাড়ে ৫ হাজার কিলোমিটার পথ পাড়ি দিতে এ সুপারসনিক বিমানের লাগত মাত্র ২ ঘণ্টা ৫২ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড। অথচ এই দূরত্ব যেতে বোয়িং ৭৪৭ বিমানের সময় লাগে প্রায় ৭ ঘণ্টা।


এই কনকর্ড বিমান শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ গতিতে ছুটত। তবে লিংকং তিয়ানশিংর সুপারসনিক ড্রোন শব্দের চেয়ে চারগুণ বেশি গতিতে ছুটতে পারবে। সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট বলছে, সুপারসনিক এই ড্রোনের ওজন দেড় টন আর লম্বায় ৭ মিটার। এতে শক্তি জোগাবে দুটি ডেটোনেশন ইঞ্জিন রয়েছে। আগামী বছর সফল পরীক্ষামূলক ফ্লাইটের পর ২০৩০ সালে প্রোটোটাইপ টেস্টিং হবে এই ড্রোনের। সুপারসনিক প্রযুক্তি সামরিক অ্যাসেট হলেও এখন বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে যুক্তরাষ্ট্র ও সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি আন্তর্জাতিক স্টার্টআপ। মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো শব্দের চেয়ে ৫ গুণ বেশি গতিতে উড়তে সক্ষম বিমান বানাতে চাইছে। আর সুইস প্রযুক্তি নির্মাতারা জ্বালানি হিসেবে হাইড্রোজেন ব্যবহারের সম্ভাব্যতা যাচাই করে দেখছেন। বছরের পর বছর এ নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতেও এখনো বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপযোগী কোনো যান বানাতে পারেনি কোনো দেশই। সে হিসেবে অনেকটাই এগিয়ে গেছে চীন।



নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | সারা বিশ্ব
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
ঢাকা
সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১.২৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট : সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১.২৮ পূর্বাহ্ন