ঢাকা
খ্রিস্টাব্দ

পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ খুবই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ : পার্বত্য উপদেষ্টা

দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১.৫৪ পূর্বাহ্ন

আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১.৫৪ পূর্বাহ্ন


নিউজটি দেখেছেনঃ 1103196 জন

  • নিউজটি দেখেছেনঃ 1103196 জন
পার্বত্য চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ খুবই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ : পার্বত্য উপদেষ্টা
এফএও-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ জিয়াওকুন শী ও তার প্রতিনিধি দল পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপদ্রীপ চাকমার সাথে সাক্ষাৎ করেন। ছবি: পিআইডি

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপদ্রীপ চাকমা বলেছেন, প্রকৃতি ও পরিবেশের কোনো পরিবর্তন না ঘটিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়ন করা হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে পানি শূন্যতা হ্রাস ও এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ গড়ে তুলতে আমরা বাঁশ এর ফলন ও এর ব্যবহার বাড়াতে চাই। পরিবেশ রক্ষায় বাঁশ খুবই কার্যকরী ও গুরুত্বপূর্ণ। 


তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে আমরা সেগুন, মেহগনি, আকাশি গাছ লাগাতে আর উৎসাহিত করছি না। পার্বত্য চট্টগ্রামের পানি শূন্যতা হ্রাস এবং অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে বাঁশ হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।’  


গতকাল বুধবার বিকেলে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এফএও-এর বাংলাদেশ কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিভ জিয়াওকুন শী ও তার প্রতিনিধি দলের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা একথা বলেন।


উপদেষ্টা পার্বত্য চট্টগ্রামে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ সকলের উপযোগী প্রকল্প গ্রহণের জন্য এফএও প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ন্যাচারাল রিজার্ভ ফরেস্ট এখানে শতাব্দিকাল যাবৎ একইভাবে রয়েছে। 


আমরা চাই, পার্বত্য চট্টগ্রামে এফএও গৃহীত প্রকল্পগুলোর স্থায়িত্ব টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী হবে। তিনি আশাবাদ প্রকাশ করে বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের খাদ্যের নিরাপত্তা ও জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে টেকসই জীবিকার সংস্থান করতে এফএও এর গৃহীতব্য প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। 


সুপ্রদীপ চাকমা ইকোসিস্টেমে পরিবেশবান্ধব বাঁশ চাষকে গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি প্রতিনিধি দলের কাছে তুলে ধরে বলেন, পাহাড় টিকিয়ে রাখতে হলে বন-জঙ্গল, ঝিরি, ঝরণা ও বাঁশ ঝাড়ের চাষ বাড়াতে হবে। কাপ্তাই লেকের পানি সংরক্ষণ ও এর তীরবর্তী এলাকায় কৃষিজ, ফলজ ও বনজ সম্পদ গড়ে তোলাসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে লাইভলিহুড ডেভেলপমেন্ট বাস্তবায়নে ২৬টি উপজেলায় কাজু বাদাম, কফি চাষ ও ইক্ষু চাষের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি এ সকল অর্থকরী আবাদে নতুন করে প্রকল্প গ্রহণের জন্য এফএও প্রতিনিধি দলের প্রতি আহ্বান জানান।   


এ সময় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব সজল কান্তি বনিক, উপদেষ্টার একান্ত সচিব (উপসচিব) খন্দকার মুশফিকুর রহমান, উপদেষ্টার সহকারী একান্ত সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব) শুভাশিষ চাকমা, এফএও এর বাংলাদেশের সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি ইমানুন নবী খান, ন্যাশনাল প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টেশন অফিসার এমদাদুল হক চৌধুরী ও ইউএনডিপি’র কর্মকর্তা এ এ মং উপস্থিত ছিলেন।


নিউজটি পোস্ট করেছেনঃ এলএসবিডি/হেনা

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশ | জাতীয়
দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ

স্টাফ রিপোর্টার | দৈনিক লাল সবুজ বাংলাদেশ
চট্টগ্রাম
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১.৫৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১.৫৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদ